ঈদুল ফিতরের পরপরই বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশের দাবি জানিয়েছে ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক ফোরাম। এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে আগামী ১৬ মে থেকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এমএ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগে গত ফেব্রুয়ারিতে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ফল প্রকাশ করা হয়নি। ফল প্রকাশ না হওয়ায় চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিও আটকে আছে।

তিনি বলেন, এনটিআরসিএ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, এপ্রিলের মধ্যে সম্ভব না হলেও ঈদের পরপরই অর্থাৎ মে মাসের শুরুতে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করা হবে। যদি সেটা না করা হয়, তাহলে আগামী ১৬ মে থেকে এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে লাগাতার অবস্থান নেব।

জানা গেছে, বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ ও চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে সোমবার (১৮ এপ্রিল) সকালে মানববন্ধন করেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারী চাকরিপ্রার্থীরা। ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এই মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধন থেকে চাকরিপ্রত্যাশীদের একটি প্রতিনিধি দল এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান বরাবর স্মারকলিপি দেন। এনটিআরসিএ সচিব ওবায়দুর রহমান তাদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। এসময় চাকরিপ্রত্যাশীরা কবে নাগাদ বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির ফল ও চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে জানতে চান। তাদের জানানো হয়, ঈদের আগে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশের চেষ্টা করা হচ্ছে। সেটা সম্ভব না হলে ঈদের পরপরেই ফল প্রকাশ করা হবে। আর বিভিন্ন কারণে এপ্রিলে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা যাচ্ছে না। আগামী জুন মাসে এটি প্রকাশ করা হতে পারে।

উল্লেখ্য, মুজিব শতবর্ষে বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন নিবন্ধিত প্রার্থীরা। সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাব ও এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে অনশন কর্মসূচিও পালন করেন তারা। পরবর্তীতে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের আশ্বাসে অনশন স্থগিত করেন তারা।

বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীদের অধিকাংশই ইনডেক্সধারী হওয়ায় এবং নারী কোটা ও অন্য ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থী না থাকায় ১৫ হাজার ৩২৫টি পদ ফাঁকা রয়ে যায়। এ অবস্থায় শিক্ষক সংকট দূর করতে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।

এএজে/এসকেডি