বিনামূল্যের বই নিয়ে এনসিটিবির নামে নকল চিঠি
২০২২ সালে বিনামূল্যে বই বিতরণের জন্য মাঠ পর্যায় থেকে বইয়ে চাহিদা চেয়ে দেশের সকল জেলা-উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি দেয় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এনসিটিবির এ চিঠি হুবহু নকল করে একটি চক্র একই তথ্য চায় জেলা, উপজেলা, থানা, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে। কোন উদ্দেশ্যে কাজটি করা হয়েছে তা এনসিটিবির কাছে পরিষ্কার নয়। সবাইকে এ চিঠির ব্যাপারে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।
রোববার এনসিটিবি থেকে পাঠানো একটি চিঠিতে বলা হয়, ২০২২ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা অনলাইনে www.textbook.gov.bd/brs ঠিকানায় দাখিলের জন্য ৩ ফেব্রুয়ারি এনসিটিবি থেকে সকল জেলা, উপজেলা, থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে চিঠি দেওয়া হয়। এতে বলা textbook.helpline@gmail.com এ ই-মেইলে এ চাহিদা পাঠাতে হবে।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে একই তারিখ স্মারক ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে nctb.gov.bd@gmail.com ইমেইল থেকে একটি ইমেইল জেলা, উপজেলা, থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে পাঠিয়েছে। এ ইমেইলে “২০২২ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্যাডে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১মার্চের মধ্যে স্ক্যান করে পিডিএফ ফরম্যাটে nctb.gov.bd@gmail.com-এ পাঠাতে বলা হয়েছে; যা এনসিটিবি থেকে পাঠানো হয়নি। এ চিঠির ব্যাপারে সবাইকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনসিটিবির সচিব প্রফেসর নিজামুল করিম বলেন, কেন এ চিঠির নকল করে চাহিদা চাওয়া হয়েছে তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। তবে এ চিঠির ব্যাপারে সবাইকে সর্তক করে পাল্টা চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা পুলিশের সাইবার ক্রাইমের কাছে সহায়তা চেয়েছি।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর বিনামূল্যের বই ছাপানোর আগে জেলা, উপজেলা ও থানা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে চাহিদা চাওয়া হয়। উপজেলা অফিস স্কুল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে জেলা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ে মাধ্যমে জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তুক বোর্ডে পাঠান। এ চাহিদার প্রেক্ষিতে বই ছাপার কাজ শুরু করে এনসিটিবি।
এর আগে মাঠ পর্যায় থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর চাহিদা সংগ্রহ করে এনসিটিবিকে পাঠাতো। গত তিন বছর থেকে এনসিটিবি নিজেই এ চাহিদা সংগ্রহ করে বইয়ের দরপত্র দিয়ে থাকে।
এনএম/এনএফ