আগামী ২৪ মে খুলবে বিশ্ববিদ্যালয়। তার এক সপ্তাহ আগে ১৭ মে খুলবে দেশের ১২০টি আবাসিক হল। এবার সশরীরে শ্রেণীকক্ষে ক্লাস নেওয়া হবে। এরমধ্যে আবাসিক এক লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীকে করোনা টিকার দেওয়া হবে। সেজন্য আসন্ন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সময় পেছাতে পারে।

এমন ইঙ্গিত দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। যেহেতু এবার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে, তাই বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর ভর্তি পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হবে। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি শিক্ষামন্ত্রী এ কথা জানান।

এদিকে মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ওই বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন উপাচার্য।

জানতে চাইলে ইউজিসির সদস্য প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ ঢাকা পোস্টকে বলেন, উপাচার্যদের নিয়ে এটি পূর্বনির্ধারিত বৈঠক। সোমবার যেহেতু শিক্ষামন্ত্রী পরীক্ষা পেছানো বিষয়টি বলেছেন বৈঠকে সেটি আলোচনা হবে।   

সোমবার ভার্চুয়াল বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সময় পেছানো হতে পারে। আগামী ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হচ্ছে। এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে সমন্বয় করে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কেউ যদি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে ভর্তি পরীক্ষা নেয় তবে তাতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা। আর বিশ্ববিদ্যালয় খুললে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের সশরীরে শ্রেণি-পাঠ শুরু হবে। তাই উভয়ের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।

তবে এখনও যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় ঘোষণা করেনি তারা যেন ক্লাস কার্যক্রম শুরুর পর সময় নির্ধারণ করেন। আমাদের পক্ষ থেকে এমনটাই আহ্বান জানানো হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করতে আমরা ইউজিসির সঙ্গে আলোচনা করব। গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তাবিত কোনো সময় নির্ধারণ করা হলেও তা পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে। উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনা করে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

এনএম/ওএফ