গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সংশ্লিষ্ট গুচ্ছের ২৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তিতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নানা শর্তের কারণে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন না বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। শিক্ষার্থীদের এমন দাবি আমলে নিয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীকে কীভাবে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া যায়, তার জন্য ২৯টি  বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যকে আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।  

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ১ম বর্ষে গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সংশ্লিষ্ট গুচ্ছের ২৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল মতবিনিময় সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা এ আহ্বান জানান।

শিক্ষার্থীদের স্বার্থ যেন বজায় রেখে গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়- উপাচার্যদের প্রতি এমন আহ্বান জানান ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো হওয়ার এ গুচ্ছতে যেন সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।

সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের এবং সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান যুক্ত ছিলেন। সভায় সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান, প্রকৌশল গুচ্ছের আহ্বায়ক এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, কৃষি গুচ্ছের আহ্বায়কও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া বক্তব্য রাখেন।

সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় নানাবিধ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারলে গুচ্ছ ভতির্তে বিরাট সফলতা আসবে। তিনি বলেন, দেশের বিশাল সংখ্যক মানুষ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার দিকে তাকিয়ে আছে। ইউজিসি দেশবাসীকে সুন্দর একটি পরীক্ষা উপহার দিতে বদ্ধপরিকর।

ইউজিসি সদস্য দিল আফরোজা বলেন, গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সুষ্ঠু ও প্রশ্নাতীতভাবে স্বচ্ছভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া। এজন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গুচ্ছের মূল দায়িত্বে থাকা উপাচার্যবৃন্দকে তিনি আহ্বান জানান। সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণে গুচ্ছের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইউজিসি সহযোগিতা প্রদান করবে বলে তিনি জানান।

বিশ্বিবিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান ইউজিসি সদস্য প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীর। তিনি বলেন, এটি করা না গেলে জিপিএ ৫ অর্জনকারী শিক্ষার্থী ছাড়া কেউ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না।

সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান বলেন, গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালোভাবেই চলছে। ইতোমধ্যে ৯টি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু করা এবং সবোর্চ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার জন্য তারা আন্তরিক।


এনএম/এনএফ