শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

পাঁচজন জাতীয় অধ্যাপকের মধ্যে তিনজনের মৃত্যুজনিত কারণে পদগুলো শূন্য রয়েছে। এসব শূন্যপদ পূরণে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) উচ্চ শিক্ষার পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় অধ্যাপকের তিনটি পদ শূন্য আছে। সেই তিনটি পদে অধ্যাপক নিয়োগের বিষয়ে সভা হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যে প্রক্রিয়া তার কাজ চলছে। এ বিষয়ে শিগগিরই ঘোষণা আসবে।’

২০২০ সালে মারা যান দুইজন জাতীয় অধ্যাপক। তারা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও বিশিষ্ট প্রকৌশলী, গবেষক, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী ও তথ্য-প্রযুক্তিবিদ জামিলুর রেজা চৌধুরী।

জানা গেছে, জাতীয় অধ্যাপক নির্ধারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি জাতীয় অধ্যাপকের নিয়োগের সুপারিশ করে। শিক্ষামন্ত্রী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এই কমিটির সিদ্ধান্ত ও মনোনয়ন অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশক্রমে রাষ্ট্রপতি এই নিয়োগ সম্পন্ন করেন।

যারা জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পান তারা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে মাসিক হারে ভাতা পেয়ে থাকেন। জাতীয় অধ্যাপকরা সরকারের অনুমতি নিয়ে বিদেশে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করতে পারেন। তবে জাতীয় অধ্যাপক পদে থাকাকালীন তারা অন্য কোনো বেতনভুক্ত চাকরি করতে পারেন না। 

শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও গবেষণার জন্য দেশের বিশিষ্ট পণ্ডিত, চিন্তাবিদ এবং শিক্ষকদের জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে ১৯৭৫ সাল থেকে বিশেষ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা হিসেবে প্রবর্তিত হয়।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের জুন মাসে দেশের তিনজন বিশিষ্টজন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।


এনএম/জেডএস