পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষা স্থগিত করেছে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মাস্টার্স পর্যায়ের বেশকিছু পরীক্ষা রয়েছে। এ পরীক্ষাগুলো আদৌ হবে কি-না এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ঢাকা কলেজের প্রিন্সিপাল আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাত কলেজের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা স্থগিত করলেও আমাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও জানায়নি।

মঙ্গলবার যাদের পরীক্ষা আছে তাদের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সকাল আটটায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবো।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের পরবর্তী পরীক্ষাগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মঙ্গলবার জরুরি সভা ডেকেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বেলা তিনটায় সাত কলেজের অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্ট তিনজন ডিনকে নিয়ে এ সভা হওয়ার কথা রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক এ এস এস মাকসুদ কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার রাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাখা থেকে জানানো হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের প্রিন্সিপাল আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার জানিয়েছিলেন, অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে লিখিতভাবে অনুমতি নেওয়ার মাধ্যমেই শুরু হয়েছে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করে পরীক্ষা গ্রহণ করছি। এখন পর্যন্ত পরীক্ষা বন্ধের কোনো নির্দেশনা পাইনি।

ভর্তি কার্যক্রমের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এখনই কিছু ভাবিনি। খুব দ্রুতই ভর্তি কার্যক্রমের ব্যাপারে আমরা ভাবছি না। ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম আরও সময়সাপেক্ষ।

এর আগে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষার্থীরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকার কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে- সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান ২৪ মে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর শুরু হবে। আর আগামী ১৭ মে থেকে সকল হল খুলে দেওয়া হবে। এ সময়ে ২৪ মে পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা হবে না। অনলাইন ক্লাসগুলো যেভাবে চলছে সেভাবেই চলমান থাকবে।

পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য বলে উল্লেখ করা হয়।

এনএম/এমএইচএস