করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফায় এ ছুটি রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ছুটি আরও বাড়বে কি না তা ঠিক করতে বিকেল ৩টায় শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে ছয় মন্ত্রী-উপমন্ত্রী বৈঠকে বসছেন। সেখানে ছুটি বাড়বে কি না কিংবা কীভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।  এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করা হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। 

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব শাফায়াত মাহবুব চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, বিকেল ৩টায় মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে তা জানার জন্য শনিবার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খোলা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জানা গেছে, মন্ত্রিসভার চিঠিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীকে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ সচিব, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব এবং আইজিকে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অতিরিক্ত আইজি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ), ইউজিসি প্রতিনিধি ছাড়াও পাঁচ মহাপরিচালক ও তিন পদস্থ কর্মকর্তাকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কবে খুলে দেওয়া যায় তা পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২২ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। তারা প্রিভিউ করবে আমরা (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) খুলব কি না এবং কখন খুলব।

করোনা মহামারি শুরুর পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। পরে জুলাই থেকে অনলাইন, টেলিভিশন কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিকল্প শিক্ষাদানের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা খুব একটা সাফল্য পায়নি। এর মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কমে আসা ও ভ্যাকসিন দেওয়া শুরুর প্রেক্ষাপটে কর্তৃপক্ষ স্কুলগুলো খুলে দেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। 

আগামী ২৪ মে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে। তার আগে ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। 

এনএম/ওএফ