শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শ্রেণিকক্ষে কতটুকু পাঠদান করানো যাবে তা নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। 

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) পরামর্শে এ সিলেবাসে করোনাপরবর্তীতে স্কুল খোলার পর কতটুকু পাঠদান করানো যাবে তা ঠিক করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১ মার্চ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি (রোববার) প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য পুনর্বিন্যাস করা পাঠপরিকল্পনা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১ মার্চ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ক্লাসের হিসাবে এ পাঠপরিকল্পনা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। পরিকল্পনায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

করোনায় শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ থাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মতো প্রাথমিকের জন্যও এ পুনর্বিন্যাস পাঠপরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে।

বছরের যে সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে তখন থেকেই কীভাবে ক্লাস রুমে পাঠদান করানো হবে তার একটি রূপরেখা এনসিটিবিকে পাঠিয়েছি। রূপরেখাটি দেখে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করতে এনসিটিবিকে বলা হয়েছে

মো. শাহ আলম, নেপের মহাপরিচালক

কর্মকর্তারা বলছেন, স্কুল খোলার পর ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত যতটুকু সিলেবাস পড়ানো সম্ভব সেই চিন্তা মাথায় রেখেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, প্রাথমিক স্তরের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির জন্য সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। কয়েকটি ধাপে করা হবে এ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস। যখন স্কুল খোলা হবে ওই সময় থেকে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পড়ানো শুরু হবে। এ সিলেবাস শুধু চতুর্থ-পঞ্চম শ্রেণির জন্য করা হচ্ছে। বাকি শ্রেণিতে শিক্ষকরা যতটুকু পড়াতে পারবেন, ঠিক ততটুকুর ওপর মূল্যায়ন করবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কখন খোলা হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে, যখনই খোলা হবে ওই সময় থেকে পরবর্তী সময়ে যতটুকু সিলেবাস পড়ানো যাবে তার একটি রূপরেখা বা গাইড লাইন তৈরি করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)। গাইড লাইনটি এনসিটিবিকে পাঠিয়েছে সংস্থাটি। সে অনুযায়ী মাসওয়ারি একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করছে এনসিটিবি।

এ ব্যাপারের নেপের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. শাহ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বছরের যে সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে তখন থেকেই কীভাবে ক্লাস রুমে পাঠদান করানো হবে তার একটি রূপরেখা এনসিটিবিকে পাঠিয়েছি। রূপরেখাটি দেখে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করতে এনসিটিবিকে বলা হয়েছে। 

তিনি বলেন, গত বছরও এমন একটি রূপরেখা আমরা করেছিলাম। যা করোনার কারণে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এবারও সে রকম সিলেবাস হবে।

এনএম/এমএআর/