ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, ড. মুহাম্মদ সামাদ, ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, ড. সাদেকা হালিম ও ড. এম অহিদুজ্জামান

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর রশিদের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত (৪ মার্চ)। এখন পর্যন্ত সেখানে কাউকে ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। কে হবেন পরবর্তী উপাচার্য- তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।

মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি সূত্র অনুযায়ী বেশ কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে, যাদের মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যসহ পাঁচ শিক্ষকের নাম।

আলোচিতদের মধ্যে রয়েছেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান।

এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ চৌধুরীও পরবর্তী উপাচার্য হতে আগ্রহী বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের শূন্যপদ পূরণে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ শতাংশ সিনিয়র অধ্যাপককে নিয়ে গত বছর একটি পুল গঠন করা হয়েছে। তবে আমি মনে করি, কেবল জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া ঠিক নয়। এ পদে দায়িত্ব পালন করতে হলের প্রভোস্ট, ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান ইত্যাদি পদে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। তাছাড়া চিন্তা-চেতনার দিকটিও দেখা হয়।

ইউজিসির এ কর্তা আরও বলেন, ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ধরনের জনবল চালাতে হয়। তাই ‘ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ক্যাপাবিলিটি’, অতীত রেকর্ড, অভিজ্ঞতা এবং অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্স বিশেষ করে সততার দিকটি দেখা জরুরি। নইলে বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর পরিবর্তে তারাই দুর্নাম কামাই করবেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়েও অচলাবস্থা তৈরির শঙ্কা থাকে।

এইচআর/আরএইচ