চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে গত বছরের তুলনায় পাসের হার এবং জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কমেছে। এবার পাসের হার ৮০ দশমিক ৫ শতাংশ। গত বছর ছিল ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এছাড়া এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৬৭০ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৭২০ জন।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১টার দিকে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, এই শিক্ষা বোর্ডে ২৬৭টি কলেজের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯৩ হাজার ৯৯৭। এর মধ্যে ১১১টি কেন্দ্রে মোট ৯১ হাজার ৯৬০ জন উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৪২০ জন ও পাসের হার ৭৭ দশমিক ৯২ শতাংশ আর ছাত্রীর সংখ্যা ৪৭ হাজার ৫৪০ জন ও পাসের হার ৮২ দশমিক ৯২ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৭০ জন। এর মধ্যে ৫ হাজার ৫৬৪ জন ছাত্র এবং ৭ হাজার ১০৬ জন ছাত্রী।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ জানান, এবার শুধু এক বিষয়ে ফেল করেছেন ১২ হাজার ৯৩৯ জন। শতকরা হিসেবে এ হার ১৪ দশমিক ০৭ শতাংশ। এবার ১৬টি কলেজের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছেন। এবারের পরীক্ষায় ৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শিক্ষা বোর্ড জানায়, এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৯১ দশমিক ৩০, মানবিক বিভাগ থেকে ৭৩ দশমিক ০৩ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৮৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং মহানগর বাদে চট্টগ্রাম জেলায় পাসের হার ৭৬ দশমিক ১২ শতাংশ। চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা মিলিয়ে পাসের হার ৮২ দশমিক ৭১ শতাংশ। 

এবার কক্সবাজার জেলার ৭৪ দশমিক ৯২, রাঙ্গামাটি জেলার ৭৫ দশমিক ৩৩, খাগড়াছড়ি জেলার ৬৮ দশমিক ৭৮ ও বান্দরবান জেলার ৮১ দশমিক ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।

এর আগে, উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বুধবার বেলা সোয়া ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে শেখ হাসিনা এ ফল ঘোষণার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবসহ বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এমআর/ওএফ