‘মুজিববর্ষের দীক্ষা, মানসম্পন্ন শিক্ষা’ প্রতিপাদ্যে আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ। চলবে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত। করোনার কারণে এবার বেশিরভাগ অনুষ্ঠান ভার্চুয়ালি হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আগামী ১ এপ্রিল ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় শিক্ষা পদক ২০১৯ বিতরণ করা হবে। উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হবে।

সপ্তাহের প্রথম দিনে শতভাগ ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে স্কুল এলাকায় গণসংযোগ, ব্যানার ও পোস্টার দিয়ে সাজানো হবে। দ্বিতীয় দিন জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

তৃতীয় দিন মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে উপস্থিত বক্তৃতা ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। চতুর্থ দিন স্টুডেন্টস কাউন্সিল ও ক্যাব সদস্যদের উদ্যোগে বিদ্যালয় এলাকায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হবে।

পঞ্চম দিন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষক এসএমসি, পিটিএ সমন্বয়ে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের জন্য নিরাপদ শিখন পরিবেশ সৃষ্টিসহ বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। একইভাবে ষষ্ঠ দিন মুজিববর্ষ উপলক্ষে রচনা, চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে (স্বাস্থ্যবিধি মেনে)। সপ্তম দিনে সাংস্কৃতিক ও সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনছুরুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরও নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন করা হবে। এবারের শিক্ষা সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মুজিববর্ষের দীক্ষা, মানসম্পন্ন শিক্ষা’। আমাদের যেসব প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল মাধ্যম রয়েছে সেখানে মুজিববর্ষের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হবে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি এবং শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসার বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে প্রচার করা হবে। শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে।

এনএম/আরএইচ