‘জোড়াতালি দিয়ে চলছে ২০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়’— শিরোনামে গত ২ মে ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত সংবাদের একাংশ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা পোস্টের মেইলে বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার মেরাজুল ইসলামের পাঠানো এ সংক্রান্ত এক প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, ঢাকা পোস্ট নামক অনলাইন পত্রিকায় গত ০২ মে, ২০২৩ খ্রি. তারিখে “জোড়াতালি দিয়ে চলছে ২০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রতিবেদনে “ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের” নামে মনগড়া তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয় ০৬ মার্চ, ২০১৯ সালে সরকার কর্তৃক অনুমোদন লাভ করে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ খি. তারিখে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। যাত্রা শুরুর প্রারস্তেই প্রতিষ্ঠানটি কোভিড-১৯ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সমস্ত বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কী অবস্থা ছিল, তা কারোই অজানা থাকার কথা নয়? যাই হোক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি অনুষদে ৬৬০টি আসনের বিপরীতে ২৬ জন শিক্ষক ও ৩৫৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বর্তমানে ৭টি সেমিস্টার চলমান রয়েছে। গবেষণা খাতে প্রতি বছর ২ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

এখন মূল বিষয় হলো যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০ সনে যাত্রা শুরু করে ২০২১ সনে তার ছাত্রছাত্রী সংখ্যা বা কলেবর করোনা অতিমারিতে আকাশচুম্বী হওয়ার কথা নয়। প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই নিউজটি করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এমনটি হলে আমরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হব।

ঢাকা পোস্ট প্রতিবেদকের বক্তব্য
প্রতিবেদনটিতে ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, এটা প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য বা অনুসন্ধান নয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসির) ৪৮তম প্রতিবেদন (সর্বশেষ) অনুযায়ী ওই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনের কপি ঢাকা পোস্টের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট নথির ভিত্তিতে আলোচ্য প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিবেদনে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই।