শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করেও নিয়োগ না পাওয়া এক হাজার ২৮৪ জন দুই বছর ধরে এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না। সম্প্রতি এসব শিক্ষকের সমস্যা সমাধান করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতায় সুপারিশ করা ৯৮ জন শিক্ষক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে পারছিল না।

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) এসব শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির জটিলতার সমস্যা সমাধান করেছে এনটিআরসিএ। তাদের নতুন করে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।

ফলে মঙ্গলবার রাত থেকে প্রার্থীরা নতুন সুপারিশের এসএমএস পাচ্ছেন। নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত কয়েকজন শিক্ষক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা বলেন, গতকাল রাতে চূড়ান্ত এসএমএস পেয়েছি। এতে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হলো।

বিষয়টি নিশ্চিত করে এনটিআরাসিএ’র চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন জানান, ভুক্তভোগী ৯৮ জন প্রার্থীর তথ্য সংগ্রহ করে জটিলতা নিরসন করা হয়েছে। এক হাজার ২৮৪ জনের মধ্যে জটিলতায় পড়া ৯৮ জন প্রার্থীর তথ্য সংগ্রহ করে তাদের সমস্যা নিরসন করা হয়েছে।

জানা গেছে, এনটিআরসিএ’র দ্বিতীয় নিয়োগ চক্রে সুপারিশ পেয়েও এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না এক হাজার ২৮৪ জন প্রার্থী। প্যাটার্ন জটিলতার কারণে তারা এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। এমপিও পদে সুপারিশ পাওয়া এসব শিক্ষকের জটিলতা নিরসনে তাদের নতুন পদে সুপারিশ করা হয়। তবে, শূন্যপদে ভুল তথ্যের কারণে নতুন সুপারিশ পেয়েও ৯৮ জন প্রার্থীর এমপিওভুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছিল। গত ১৫ মার্চ পর্যন্ত ভুক্তভোগী প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন নিয়েছে এনটিআরসিএ। ৯৮ জন প্রার্থীর আবেদন পাওয়ার পর তাদের নতুন করে সুপারিশ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের এসএসএম করে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এনটিআরসিএ’র নির্ধারিত ওয়েবসাইট (http://ngi.teletalk.com.bd/) থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের তালিকা দেখা যাবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তাদের ইউজার আইডির ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সুপারিশ প্রাপ্তদের তালিকা দেখতে পারবেন। প্রার্থীরা সুপারিশপত্র ডাউনলোড করে নিজ নিজ পদে যোগদান করবেন।

এনএম/এমএইচএস