একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কলেজ টিসির অনলাইন আবেদনের সময় বাড়িয়ে আগামী ২০ মে পর্যন্ত করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে টিসি কার্যক্রমের সময় বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বোর্ড।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বোর্ড ও কলেজ টিসির আবেদন গ্রহণ শুরু হয়।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত নিয়মিত শিক্ষার্থীদের অনলাইন টিসি কার্যক্রমের সময় আগামী ২০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হলো। ২০ মের পর অনলাইনে কলেজ টিসি কার্যক্রমের সময় আর বাড়ানো হবে না বলেও জানিয়েছে ঢাকা বোর্ড।

যেভাবে আবেদন করবেন
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে (https://dhakaeducationboard.gov.bd/) গিয়ে ই-টিসি বাটনে ক্লিক করে আবেদন পূরণ করে তা জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষার্থীর অধ্যয়নরত এবং ই-টিসির মাধ্যমে কাঙ্খিত উভয় কলেজে পঠিত বিষয়গুলো একই হতে হবে।

আবেদন জমা হওয়ার পর শিক্ষার্থীর দেওয়া মোবাইল নম্বরে গোপনীয় কোডসহ এসএমএস পাঠানো হবে। এ কোড দিয়ে শিক্ষার্থী পরে তার আবেদন আপডেট করতে পারবেন।

অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়ার পর সোনালী ব্যাংকের যেকোনো অনলাইন শাখা থেকে সোনালী সেবার স্লিপের মাধ্যমে ই-টিসি বাবদ ৭০০ টাকা ফি জমা দিতে হবে। শিক্ষার্থী সঠিকভাবে আবেদন সাবমিট করলে অধ্যয়নতরত কলেজ অর্থাৎ প্রথম কলেজ একটি এসএমএসপাবে। তখন ওই কলেজ বোর্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে 'ওইএমএস' এর মাধ্যমে লগইন করে 'ট্রান্সফার সার্টিফিকেট' অপশনে ক্লিক করে টিসি আবেদন দেখতে পারবে। তখন ওই প্রতিষ্ঠান আবেদনটি ফরোয়ার্ড বা রিজেক্ট করতে পারবে।

প্রথম কলেজ আবেদন ফরোয়ার্ড করার পর টিসির জন্য আবেদন করা অর্থাৎ দ্বিতীয় কলেজ একইভাবে আবেদনটি ফরোয়ার্ড বা রিজেক্ট করতে পারবে। দ্বিতীয় কলেজ আবেদনটি ফরোয়ার্ড করলে শিক্ষার্থী একটি এসএমএস পাবে। তখন সোনালী সেবার মাধ্যমে ই-টিসি ফি জমা দিতে হবে। সোনালী সেবার এ স্লিপ বোর্ডে জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই, এটি শিক্ষার্থীকে সংরক্ষণ করতে হবে।

এনএম/এসএম