স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দনিয়া কলেজ ও দনিয়া পাঠাগারের যৌথ উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের নিয়ে গ্রন্থপাঠ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো গ্রন্থপাঠ কর্মসূচির আয়োজন করলো দনিয়া পাঠাগার।

আদিত্য প্রকাশের আর্থিক সহায়তায় বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাজধানীর দনিয়া কলেজ মিলনায়তনে এই গ্রন্থপাঠ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গত বছরের গ্রন্থপাঠ কর্মসূচির বিজয়ী ফারহানা হাফসা। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য দেন দনিয়া পাঠাগারের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন আদিত্য প্রকাশের স্বত্বাধিকারী খান নজরুল ইসলাম হান্নান।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন দনিয়া কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর মিয়া। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ছাড়াও দনিয়া কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও দনিয়া পাঠাগারের কর্মীরা এতে উপস্থিত ছিলেন।

এবারের গ্রন্থপাঠ কর্মসূচির আওতায় নির্বাচিত তিনটি বই— বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তারানাথ তান্ত্রিক’, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সেই সময়’ এবং হুমায়ূন আহমেদের ‘জোছনা ও জননীর গল্প’। এর মধ্যে শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দমতো একটি বই বেছে নিয়েছে। আগামী ৪০ দিনের মধ্যে বইগুলো পাঠ করে তারা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবে।

এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য বর্তমান প্রজন্মকে পাঠাগারমুখী করে গড়ে তোলা, যাতে করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সাহিত্যের সাথে পরিচিতি লাভ করতে পারে এবং একই সাথে বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে তাদের ধারণা জন্মায়।

পূর্ববর্তী গ্রন্থপাঠ উদ্যোগের বিজয়ী ও এবারের প্রধান অতিথি ফারহানা হাফসা অনুষ্ঠানে বলেন, বই পাঠ না করলে আমরা শুধু আমাদের জীবনটুকুই যাপন করি। বই পড়লে আমরা ভিন্ন ভিন্ন জীবনের অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ হই, সেসব অভিজ্ঞতা আমাদের জীবনে যুক্ত হয়ে আমাদের অমর করে।

আদিত্য প্রকাশের স্বত্বাধিকারী খান নজরুল ইসলাম হান্নান বলেন, বই পাঠের জন্য এত সুন্দর কার্যক্রম বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ। আগামীতে আমরা এ কার্যক্রমের পরিসর বড় করতে চাই।

সভাপতির বক্তব্যে দনিয়া কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, আমার জীবনের সকল সাফল্যের মূলে বই পড়ার অভ্যাস। আমার বিশ্বাস তোমরাও একদিন সাফল্য অর্জন করবে।

অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন।

এমজে