৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে প্রকাশ করা হতে পারে। পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, লিখিত পরীক্ষার কিছু খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে যাওয়ায় কারণে ফল প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে।  চলতি  মাসের মাঝামাঝি খাতা পুনর্মূল্যায়ন শেষ হবে।  ফল প্রকাশের জন্য সরকারি বন্ধের দিন শুক্র এবং শনিবারও কাজ চলছে।

এ বিষয়ে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) নুর হোসেন  জানান, প্রায় সাড়ে আট হাজার খাতা পুনর্মূল্যায়ন  করতে হচ্ছে। এ কারণে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে ফলাফল প্রকাশের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। কমিশন সিদ্ধান্ত দিলে এ সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। তবে অনেক খাতায় দুই পরীক্ষকের দেয়া নম্বরে অপেক্ষাকৃত বেশি ব্যবধান হওয়ায় খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে দেওয়া হয়েছে। সে কারণে ফল প্রকাশ করতে দেরি হচ্ছে।

৪০তম বিসিএসে মোট ১ হাজার ৯০৩ জন ক্যাডার নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ক্যাডার অনুসারে, প্রশাসনে ২০০, পুলিশে ৭২, পররাষ্ট্রে ২৫, করে ২৪, শুল্ক আবগারিতে ৩২ ও শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় ৮০০ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা।

বিধান অনুযায়ী তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষার খাতা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে তৃতীয় পরীক্ষকের প্রয়োজন আছে কি-না ভবিষ্যতে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

৪০তম বিসিএসে অংশ নেয়ার জন্য মোট ৪ লাখ ৯৬৩ জন রেজিস্ট্রেশন করেন। পরীক্ষায় অংশ নেন মোট ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮ জন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০ হাজার ২৭৭ জনকে বাছাই করা হয়। গত ৪ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। 

এরই মধ্যে দুই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। এর মধ্যে ৪২তম বিসিএসটি বিশেষ এবং ৪৩তমটি সাধারণ। ৪২তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে চিকিৎসক নেওয়া হবে ২ হাজার। আর ৪৩তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মোট ১ হাজার ৮১৪ পদের চাহিদা পাঠায়। এতে শিক্ষায় নেওয়া হবে সবচেয়ে বেশি।


এনএম/এনএফ