মহামারি করোনা ও চলমান লকডাউনের মধ্যেও অবসরে যাওয়া বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে রেকর্ড ২০ কোটি ৭৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা ছাড় করেছে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট। ৪৮০ জনের আবেদনের বিপরীতে কল্যাণ সুবিধার এ টাকা ছাড় করা হয়েছে। 

ঈদের আগেই শিক্ষক কর্মচারীরা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে যার যার ব্যাংক হিসাবে তাদের টাকা পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট। ঈদের উপহার হিসেবে এ টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৯ মে) কল্যাণ ট্রাস্ট্রের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

করোনা ও লকডাউনের এ দুঃসময়ে ঈদকে সামনে রেখে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের লক্ষ্য করোনাকালীন এই দুঃসময়ে মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের সর্বোচ্চ সংখ্যক আবেদন নিষ্পত্তি করা। 

কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে রোববার ৪৮০ জনের আবেদনের বিপরীতে কল্যাণ সুবিধা বাবদ ২০ কোটি ৭৩ লাখ ৫৪ হাজার ১২৯ টাকা ছাড় করা হয়েছে।

ঈদের আগেই শিক্ষক কর্মচারীদের যার যার ব্যাংক হিসাবে তাদের টাকা পৌঁছে যাবে। এছাড়া ১৫ দিন আগেও কল্যাণ ট্রাস্টের ৬৪২টি আবেদনের বিপরীতে ২৭ কোটি টাকা কল্যাণ সুবিধা দেওয়াসহ লকডাউনে গত এক মাসে ১ হাজার ৩০০ জন শিক্ষক কর্মচারীকে ইএফটির মাধ্যমে প্রায় ৬০ কোটি টাকা যার যার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। 

এ ব্যাপারে কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন সার্বক্ষণিক উৎসাহ যুগিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু।

তিনি বলেন, জনবলসহ বিভিন্ন সংকটের মধ্যেও জাতির এই দুঃসময়ে শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের হাতে কল্যাণ সুবিধার টাকা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। ফলে এই দুঃসময়ে  শিক্ষক কর্মচারীরা কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।

এনএম/জেডএস