এক রোগীর সিটি স্ক্যান করা হচ্ছে/ ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে বিভিন্ন রোগের পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মূল্য নেয়ায় অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।

এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার ব্যয় সাধারণের নাগালে রাখার লক্ষ্যে অতি জরুরি ও প্রয়োজনীয় ১০টি পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

রোববার (৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সার্ভিসের (এমআইএস) পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, করোনাভাইরাসের সময়ে বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ এসেছে। এর ফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরীক্ষাগুলোর নতুন মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে।

এ সম্পর্কিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের ডেঙ্গু আক্রান্তদের মতো কিছু সাধারণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয়। সেগুলোর সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণের জন্য অধিদপ্তর থেকে বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিক মালিক ও নার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া কিছু করপোরেট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গেও আলোচনা হয়। সেই আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রস্তাবিত খসড়া মূল্য চূড়ান্ত করা হলো। এখন থেকে এ নির্ধারিত মূল্য সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হিসেবে গণ্য হবে।

তবে, যেসব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কম মূল্যে পরীক্ষা করছে, তাদের জন্য নতুন মূল্য প্রযোজ্য হবে না। যারা বেশি ফি আদায় করে তারা এর আওতায় পড়বে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষার নির্ধারিত মূল্য ও পূর্ব মূল্য
পরীক্ষার নাম নির্ধারিত মূল্য (টাকা) পূর্ব মূল্য (টাকা)
রক্তের সিবিসি ৫০০ ৪০০-৬০০
সিআরপি ৬০০ ৬০০-৯০০
এলএফটি ১০০০ ৯৫০-১৬০০
সিরাম ক্রিটিনিন ৪০০ ৩০০-৬৫০
সিরাম ইলেকট্রোলাইট ১০০০ ৮৫০-১৪৫০
ডি-ডাইমার ১৫০০ ১১০০-৩২০০
এস ফেরেটিনিন ১২০০ ১০০০-২০০০
এস প্রকালসাইটোনিন ২০০০ ১৫০০-৪০০০
চেস্ট সিটি স্ক্যান ৬০০০ ১৩০০০
চেস্ট এক্স-রে অ্যানালগ ৪০০, ডিজিটাল ৬০০ ৩০০-৫০০ ও ৫০০-৮০০

তবে সরকারি হাসপাতালগুলোতে এসব পরীক্ষার ব্যয় এর চেয়ে অনেক কম বলে জানা গেছে। বেশকিছু পরীক্ষা বেশিরভাগ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রচলিত সেবা মূল্যের চেয়ে বেশি ধরা হয়েছে।

জানা গেছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানে সিবিসি করাতে ব্যয় হয় ১৫০ টাকা, সিরাম ক্রিটিনিনের মূল্য ৫০ টাকা এবং এস ইলেকট্রোলাইটের মূল্য ২৫০ টাকা। এছাড়া চেস্ট এক্স-রে অ্যানালগ ও ডিজিটাল যথাক্রমে ২০০ ও ৩০০ টাকা এবং চেস্ট সিটি স্ক্যান-এর মূল্য দুই হাজার টাকা।

টিআই/এফআর