হল ক্যাম্পাস খুলে সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে বেশ কয়েকবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের স্নাতক ও ডিগ্রির স্থগিত পরীক্ষাগুলো জুন মাসেই শুরুর চেষ্টা ছিল কর্তৃপক্ষের। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না।  

এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে সৃষ্ট সেশনজট কমাতে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সশরীরে পরীক্ষা নেওয়া শুরুও করে। তবে করোনার সংক্রমণ হার উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সেসব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।  

ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সশরীরে পরীক্ষা নেওয়া আর সম্ভব হচ্ছে না৷ কিন্তু বিকল্প হিসেবে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে গেলেও অনেক জটিলতা আছে। 

এ জটিলতার কারণ দেখিয়ে অনলাইনে পরীক্ষার বিপক্ষে মত দিয়েছেন সাত কলেজের কয়েকজন অধ্যক্ষ। তারা বলছেন, এই মুহূর্তে অনালইনে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। এতে জটিলতা বেশি৷ সেই সাথে নেই প্রস্তুতিও ৷ অনলাইনে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন৷ এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে সশরীরেই পরীক্ষা শুরু সম্ভব। 

কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমেনা বেগম বলেন, আমরা চেয়েছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য। কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সেটা আমাদের জন্য আবারও কঠিন হয়ে গেল। আর পরীক্ষার ব্যাপারে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার  সুযোগ নেই। সাত কলেজের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের ব্যাপারও রয়েছে। আর এত শিক্ষার্থীকে অনলাইন পরীক্ষায় যুক্ত করাটাও বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ।

এ বিষয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ মহসীন কবির বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা অনলাইনে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়ার জন্য যে সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছিলাম সেটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। আর অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের তো একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই। তাছাড়া  অনলাইন পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে বড় ধরনের একটা প্রস্তুতির ব্যাপার রয়েছে। যা সাত কলেজ প্রশাসনের নেই।  

এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দ্রুতই সাত কলেজের অধ্যক্ষরা মিটিংয়ে বসবেন জানিয়ে ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বলেন,  আগে আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সেটা এখন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আবারও বসব এবং সিদ্ধান্ত নেব। আমরা সম্ভাব্য একটা তারিখ নির্ধারণ করব যাতে শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নিতে পারে। আমরা অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবছি না, কেননা আমাদের বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীর অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা এই সপ্তাহে বিষয়টা নিয়ে বসব এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।

আরএইচটি/এনএফ/জেএস