সরকারি স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের চাকরিতে এবার ডোপ টেস্ট করানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) নেওয়া মৌখিক পরীক্ষা শেষে সুপারিশপ্রাপ্ত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২ হাজার ১২১ জন সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষিকার ডোপ টেস্টসহ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হবে ৪ জুলাই। 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পিএসসি কর্তৃক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ পাওয়া ২ হাজার ১২১ জন সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষিকা (১০ম গ্রেড) পদে প্রার্থীদের ডোপ টেস্টসহ স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। এক্সরে, প্রস্রাব ও চক্ষু পরীক্ষা করে রিপোর্ট স্বাস্থ্য অধিদফতরে পাঠাতে হবে।

এসব পরীক্ষার সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে ডোপ টেস্ট করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদফতরে পাঠাতে হবে। পরীক্ষার জন্য হাসপাতাল ও প্রার্থীদের তালিকাও প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, সারাদেশে ৩১১টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট দূর করতে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করে পিএসসি। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ২ হাজার ১৫৫ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে সুপারিশ করে পিএসসি। এরপর নানান জটিলতায় তাদের নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। অবশেষে তাদের নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে পরিচালক (বিদ্যালয়) অধ্যাপক মো. বেলাল হোসাইন বলেন, পিএসসির তালিকাভুক্তদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষ হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের নিয়োগ দেওয়া শুরু হবে।

করোনা ঠেকাতে লকডাউন ও সরকারি বিধিনিষেধের কারণে তাদের তথ্য যাচাই ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শেষ করতে দেরি হয়েছে।  তবে কাজটি দ্রুততম সময়ে শেষ করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এদের নিয়োগ নিয়ে তেমন জটিলতা নেই বলেও জানান তিনি।

এনএম/ওএফ