চলতি বছর কয়েক দফা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা থাকলেও করোনার হার না কমায় সেটি সম্ভব হয়নি। আর জটিলতায় চলতি বছরের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা কবে শুরু হবে তা এখনও অনিশ্চিত। তবে সংক্ষিপ্ত পরিসরে হলেও প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতি অনুযায়ীই এই দুটো পরীক্ষার আয়োজন করতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেটাও যদি সম্ভবপর না হয় তাহলে অন্তত অ্যাসাইনমেন্ট পর্যালোচনা করে তাদের পরবর্তী শ্রেণিতে প্রমোশনের পরিকল্পনা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কি আসলেই হবে নাকি অটোপাস দেওয়া হবে- তা নিয়ে  চিন্তিত শিক্ষার্থীরা। এইচএসসি পাসের পর কীভাবে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আছে তা নিয়েও চিন্তা।  

শিক্ষার্থীরা বলছেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে। করোনার হার ক্রমবর্ধমান। এ অবস্থায় পরীক্ষা হবে কি না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি। তবে পরীক্ষার পরিবর্তে অটোপাস দেওয়ার পক্ষে শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষা হলে কী প্রক্রিয়ায় নেওয়া হবে তা নিয়ে দোটানায় আছেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক নাসিমা বেগম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অনলাইন মাধ্যমে তাদের স্টাডির সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের শিক্ষকরাও তাদের প্রতি যথেষ্ট কমিটেড। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা এখান থেকে কিছু শিখে যাক। রেগুলার শিক্ষার্থীদের চেয়ে যাতে কোনো অংশে পিছিয়ে না থাকে।

অটোপাস বা পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একটি বৈঠক আছে। আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত একা দেওয়ার সুযোগ নেই। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল আছে। সেখানে সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে কী ভাবছেন এমনটা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসএসসি, এইচএসসি শিক্ষার্থীদের দায়িত্বে যারা রয়েছেন তারা অন্তত কিছু পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। পরীক্ষা নিলেও যেগুলো অনলাইনে নেওয়া সম্ভব সেগুলোই নেওয়া হবে। তবে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানানো যাচ্ছে না। পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।

অটোপাসের কোনো চিন্তা আছে কি না জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব‌ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের দেশের সম্পদ। তাদের মেধা মূল্যায়নের জন্য যে পন্থা অবলম্বন করা যায় সেটি আমরা গ্রহণ করব।

তিনি বলেন, যদি পরিস্থিতি একেবারেই খারাপের দিকে যায় তাহলেতো অনেক কিছু চিন্তা করতেই হবে। তবে আমরা আপাতত পরীক্ষা নিতে চাই।

এনএম/এইচকে