ফাইল ছবি

• বিদেশ যাচ্ছে ৬০ হাজার শিক্ষার্থী, আসছে ২ হাজার 
• বিদেশি শিক্ষার্থীর বেশিরভাগই আসে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে
• ১৫১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪টিতে একজনও বিদেশি শিক্ষার্থী নেই; যার ২৬টি সরকারি 
• এক বছরে সরকারিতে বিদেশি শিক্ষার্থী কমেছে ৩২২ জন
• সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের বড় বাধা ‘বাংলা’ 
• বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভর্তি হচ্ছেন এমবিবিএস কোর্সে

ইউনেস্কোর তথ্য বলছে, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৬০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পড়তে যান। আর সেখানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তথ্য, বাংলাদেশে পড়তে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই হাজারের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ার সংখ্যায় বড় একটা ফারাক থাকছে। 

শুধু এখানেই শেষ নয়, যে অল্প সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী এদেশে পড়তে আসেন, তার বেশিরভাগই আসেন আবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেয়েও বিদেশি শিক্ষার্থী টানতে পারছে না পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এ চিত্রকে উদ্বেগজনক মন্তব্য করে শিক্ষাবিদরা বলছেন, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাতি অর্জন করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমছে। একই চিত্র অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুটা বাড়ছে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা। 

ইউজিসির সর্বশেষ ৪৬তম বার্ষিক প্রতিবেদনে বিদেশি শিক্ষার্থীর যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পড়তে আসেন ১ হাজার ৯৪৯ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৪৬৭ জনই আসেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাকি ৪৮২ আসেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। 

বর্তমানে দেশে ১৫১টি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে; যার ৪৬টি সরকারি এবং ১০৫টি বেসরকারি। এরমধ্যে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একজনও বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারেনি। একজনও বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে ব্যর্থ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।  

ইউজিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্যান্যবারের মতো এবারও বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে এগিয়ে ছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৯ সালে ৩৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট বিদেশি শিক্ষার্থী ছিলেন ১ হাজার ৪৬৭ জন। এর আগের বছর ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৮৬ জন। অর্থাৎ এক বছরের বিদেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে ৮১ জন। অন্যদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা। ২০১৮ সালে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮০৪ জন ২০১৯ সালে সেই সংখ্যা এসে দাড়ায় ৪৮২ জনে। অর্থাৎ এক বছরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৩২২ জন।

বিদেশি শিক্ষার্থীদের আনার জন্য যে প্রচার প্রচারণার প্রয়োজন সেটা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনুপস্থিত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির হার বাড়ার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক ডিজিটালাইজেশন হওয়ায় ফলে বিদেশি শিক্ষার্থীরা তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে উচ্চশিক্ষার কোর্স-কারিকুলাম, সিলেবাস ইত্যাদি দেখে বাংলাদেশে পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। 

তবে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী কেন কমছে, এ ব্যাপারে কমিশন প্রতিবেদনে কোনো মন্তব্য করেনি। 

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র
২০১৯ সালে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ২০টিতে ৪৮২ জন বিদেশি লেখাপড়া করছিলেন। তার আগের বছর বিদেশি শিক্ষার্থী ছিল ৮০৪ জন। এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি শিক্ষার্থী কমেছে ৩২২ জন। ইউজিসির তথ্য অনুয়ায়ী, ২০১০ সাল থেকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ওঠানামা করছে।  

গত ১০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১০, ২০১১, ২০১৩ এবং ২০১৬ সালে বাংলাদেশে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে কমেছে। অন্যদিকে ২০১২, ২০১৪, ২০১৫ এবং ২০১৮ সালের বিদেশি শিক্ষার্থী আসার সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে। 

বিদেশি শিক্ষার্থী নিয়ে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমবেশি হওয়ার কয়েকটি কারণ হলো পড়াশোনা করার মাধ্যম। বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা হয় ইংরেজি মাধ্যমে। কিন্তু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক কোর্স এখনও বাংলা মাধ্যমে পড়ানো হয়। এটা বড় কারণ। তবে এখন প্রথম সারির বেশিরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করাচ্ছে। তারপরও কেন শিক্ষার্থী টানতে পারছে না, তার কারণ তারাই ভালো বলতে পারবে। 

এ ব্যাপারে শাহজালান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের আনার জন্য যে প্রচার প্রচারণার প্রয়োজন সেটা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনুপস্থিত। এছাড়া ২০১৮ সালে হলিআর্টিসানে জঙ্গি হামলার পর অনেক বিদেশি এ দেশে আসার ব্যাপারে ভয় পেয়েছিলেন। সেটা এখন কেটে গেছে। তার মতে, আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেভাবে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে বের করে, সেভাবে বিদেশি শিক্ষার্থীরা আমাদের খোঁজে না।   

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র
২০১৯ সালে কার্যক্রম পরিচালনা করা ১০৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৭টি বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পেরেছে। ওই বছর মোট ৩৭টি দেশের ১ হাজার ৪৬৭ জন বিদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নতরত ছিলেন। এর আগের বছর ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৮৬ জন। অর্থাৎ ২০১৮ সালের চেয়ে ২০১৯ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে ৮১ জন। 

কোন দেশের কতজন শিক্ষার্থী
উচ্চশিক্ষার জন্য মোট ৩৭টি দেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছেন বিদেশী শিক্ষার্থীরা। দেশগুলো হলো- ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, জাপান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন,গাম্বিয়া, মরক্কো, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, উগান্ডা, জিম্বাবুয়ে, সিয়েরা লিওন, যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, আফগানিস্তান, ফিলিপাইন, বাইরাইন, লাইবেরিয়া, ফিজি, পাপুয়া নিউ গিনি, মিয়ানমার, কেনিয়া, দক্ষিণ সুদান, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ক্যামেরুন, ইরান এবং জর্ডান। 

ইউজিসির মন্তব্য
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের তুলনায় বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ জন বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি বছরই বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক ডিজিটালাইজেশন হওয়ায় ফলে বিদেশি শিক্ষার্থীরা তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে উচ্চশিক্ষার কোর্স-কারিকুলাম, সিলেবাস ইত্যাদি দেখে বাংলাদেশে পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ হচ্ছে । 

বেশ কয়েকটি উন্নত দেশ যেমন- যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চীন, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ইত্যাদি দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা পড়তে এসেছেন। সে কারণে বহির্বিশ্বে একদিকে যেমন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের হারও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে শিক্ষার গুণগত মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও উন্নীত করা বাঞ্ছনীয় বলে কমিশন মনে করে। 

এমবিবিএস কোর্সে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী
বিদেশি শিক্ষার্থীর তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, যেসব বিষয়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে আসেন তার মধ্যে এমবিবিএস কোর্সে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী আসেন। কারণ হিসেবে কমিশন বলছে, বাংলাদেশে এমবিসিএস কোর্সের মান ও কোর্স ফি অন্যান্য দেশের চেয়ে ভালো। এছাড়া বাংলাদেশ ইন্টার্নশিপের জন্য ভালো হওয়ায় অনেকেই এমবিবিএস কোর্স শেষ করে এর জন্য বাংলাদেশকে বেছে নেন। 

ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ইউটিউব চ্যানেল থেকে নেওয়া ছবি

এমবিবিএস কোর্স করতে আসা শিক্ষার্থীর মধ্যে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভারত, ভূটান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, সৌদি আরব এগিয়ে। চট্টগ্রামে ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ও সিলেটের জালালাবাদ রাগিব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে বেশি শিক্ষার্থী এসেছেন।

তথ্যমতে, ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত ছিলেন চট্টগ্রামে ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে। এ প্রতিষ্ঠানে ১৩০৫ জন বিদেশি শিক্ষার্থী এমবিবিএস প্রোগ্রামে পড়াশোনা করছেন। এর মধ্যে ৫৭৮ জন নারী শিক্ষার্থী। এ তালিকায় দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (১৪১ জন), আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (৬৫ জন), গণবিশ্ববিদ্যালয় (২৯ জন) ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড  টেকনোলজি (৩৭ জন)। 

প্রথম সারির কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান এখন প্রথম সারির সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়েও ভালো

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির আহমেদ

এছাড়া অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থী সংখ্যা হলো- ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ৪৩ জন, নর্থ সাউথে ৪৮ জন, অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে ৯ জন, ডেফোডিল ইউনিভার্সিটিতে ১১৪ জন, স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ১০ জন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে ৯ জন, ইস্ট ওয়েস্টে ৪ জন, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে ১৫ জন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ৬ জন।

বিদেশি শিক্ষার্থী বেশি ভর্তি হওয়ার প্রসঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মালিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি ও ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শেখ কবির আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটা স্বীকার করতে হবে প্রথম সারির কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান এখন প্রথম সারির সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়েও ভালো। এ কারণে বিদেশী শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ পড়তে আসছেন। 

তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি কাঙ্ক্ষিত মান অর্জন করতে পারতো তবে বাংলাদেশ থেকে মেধাবীদের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা কমতো। সে চেষ্টা অনেকেই করছে, তারা সফলও হয়েছে। তবে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এখন মানের দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। 

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের আলাদা একটি টিম কাজ করে। বিশ্ববিদ্যায়ের কারিকুলাম, সিলেবাস, গবেষণা, বিভিন্ন ক্লাস, ক্যাম্পাসের পরিচিতি, আবাসিক সুবিধা এগুলো বিদেশে ব্র্যান্ডিং করা হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থী আমাদের এখানে আগ্রহী হয়ে পড়তে আসেন। তার মতে, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ কাজগুলো করতে পারে।   

এনএম/এনএফ