ফাইল ছবি

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ে শর্তসাপেক্ষে কওমি ছাড়া দেশের সব রকমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান এ ছুটি বাড়ানো হলো।

এর আগে চলমান ছুটি ১৬ জানুয়ারি শেষ হওয়ার পর আর কতদিন বাড়ানো যায় সে বিষয়ে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কাছে মতামত চায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় অনলাইনে একটি সভা করে। সেখানে বর্তমান করোনার পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে এক মাসের ছুটি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়।

এদিকে, আগামী ১২ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়ার জন্য সিলেবাস তৈরি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

মার্চের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির কাজটি আমরা করে থাকি। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সঙ্গে অ্যাসাইনমেন্টের কোনো সম্পর্ক নেই।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি চলমান আছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সরকার কয়েক দফায় ছুটি বাড়িয়েছে। সর্বশেষ ঘোষণায় আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। ফলে একটানা ১০ মাস বন্ধই রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

এদিকে, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার আগামী মার্চ মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত সরকার নিতে পারে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত ৬ জানুয়ারি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এক দলীয় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুরা যাতে আবার তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসতে পারে এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পুনরায় শুরু করতে পারে সেজন্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তবে উচ্চ শিক্ষা স্তরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনার্স ও মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

এনএম/এমএইচএস