শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি/ ফাইল ছবি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা শিক্ষার মানে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছি। নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন করতে যাচ্ছি। সেখানে শিক্ষকরা সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করবেন। কারণ শিক্ষার্থীদের এই পুরো প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাবেন শিক্ষকরা। কাজেই মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের জন্য যোগ্য শিক্ষক লাগবে।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে সরকারি স্কুলে নিয়োগ পাওয়া ২ হাজারের বেশি প্রার্থীর নিয়োগপত্র ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পাওয়া ৩৪ হাজার প্রার্থীর সুপারিশপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনারাই (শিক্ষক) ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের তৈরি করবেন। শিক্ষার্থীদের যখন সফট স্কিল শেখাবেন সেগুলো সম্পর্কে আপনাদেরও স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের সৎপরামর্শ প্রয়োজন। সে কারণেও তাদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে। আজ যারা নিয়োগ পাচ্ছেন, তারা নানা ধরনের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যাবেন। কর্মজীবনে সফল হতে হলে একদম প্রথম থেকেই যত ধরনের প্রশিক্ষণ নেওয়া সম্ভব, তা নিতে হবে।

শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তি আপনার কাজ আরও দক্ষতার সঙ্গে করতে সহায়তা করে। কাজেই প্রযুক্তিকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে। প্রযুক্তিকে ভয় পাবেন না, আপন করে নিন, কাজের হাতিয়ার বানান।

দীপু মনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক সংকট রয়েছে। তাই আমরা ভেরিফিকেশন চলমান থাকা অবস্থায় নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ শর্তসাপেক্ষে যে, ভেরিফিকেশনে কোনো বিরূপ কিছু থাকলে তাকে বাদ দেওয়া হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আবু রকর ছিদ্দীকের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ভার্চুয়ালি সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে নিয়োগ পাওয়া পাঁচজন ও বেসরকারি স্কুলে নিয়োগ পাওয়া পাঁচজন শিক্ষকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। বাকিরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাদের নিয়োগপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন বলেও জানানো হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান অবস্থায় ৩৪ হাজার ৭৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়েছে। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে ২ হাজার ৬৫ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সুপারিশপত্র ডাউনলোড করে সুপারিশপত্রে উল্লেখিত তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বাকি প্রার্থীদের মধ্যে ৪ হাজার ১৯৮ জনের পুলিশ ভেরিফিকেশনের ভি রোল ফরম না পাঠানো, ৯ জনের প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ হওয়া, তিনজনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ১০ নম্বর শর্ত ভঙ্গ করে মহিলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শরীরচর্চা শিক্ষক পদে আবেদন করাসহ বিভিন্ন কারণে মোট চার হাজার ২১০ জন প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়নি। যে প্রার্থীদের সুপারিশ করা হয়নি, তাদের তালিকা এনটিআরসিএ ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।

যে প্রার্থীরা ভি রোল ফরম পাঠাননি, তাদের আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এনটিআরসিএ অফিসে সরাসরি অথবা রেজিস্টার্ড ডাকযোগে জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় তাদের প্রাথমিক নির্বাচন বাতিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এএজে/এসকেডি