কাবিলা, হাবু আর জাকির এই নামগুলোতেই তারা দেশজুড়ে পরিচিত এখন। আসল নাম জিয়াউল হক পলাশ, চাষী আলম ও সাইদুর রহমান পাভেল। নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তারা। তাই নাটকের বাইরে দেশের বিভিন্ন স্থানে লাইভ অনুষ্ঠানেও ডাক আসে তাদের।

শুক্রবার (১ এপ্রিল) পলাশ-চাষী-পাভেল অংশ নিয়েছেন মৌলভীবাজারের দ্য ফ্লাওয়ার্স কেজি অ্যান্ড হাই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে। সেখানে শত শত শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টের মাঝে হাসির ফোয়ারা ছড়িয়ে দেন ব্যাচেলর পয়েন্ট তারকারা।

মঞ্চে ওঠার পর দর্শকসারি থেকে দু’জন তরুণ-তরুণীকে ডেকে আনেন পলাশ। তাদেরকে দিয়েই কাবিলা ও রোকেয়া চরিত্রে ফোনালাপের অভিনয় করান। যা সবার মাঝে আনন্দের বন্যা বইয়ে দেয়। সবাই হাততালি দিয়ে উৎসাহ দেন।

জিয়াউল হক পলাশ বলেন, ‘আজকের এমন আয়োজনে আপনাদের হাততালি আমাদের কাজ করার উৎসাহ আরও বাড়িয়ে দেয়।’

চাষী আলম হাবু চরিত্রের জন্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী মাহির জাওয়াদকে মঞ্চে তোলেন। সেই মুহূর্তটিও দর্শকদের আনন্দ দেয়। এছাড়া এদিন মঞ্চ মাতিয়েছেন ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ ও ‘নয়া দামান’ খ্যাত তুসিবা।

মঞ্চ মাতাচ্ছেন পলাশ, চাষী ও পাভেল

মূলত ‘দ্য ফ্লাওয়ার্স কেজি অ্যান্ড হাই স্কুলের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে। সকালে আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শামীম আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম, সাবেক প্রিন্সিপাল সুরাইয়া বেগম চৌধুরী, সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল সৈয়দা ইসমত আরা প্রমুখ।

বর্ষপূর্তি ও পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সব প্রাক্তন শিক্ষার্থীকে নিয়ে এই উৎসবের আয়োজন করেছি। অনেকের সঙ্গে অনেক দিন ধরে দেখা নেই। এই আয়োজনে পুরোনো বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছি। তাদের পেয়ে পুরোনো স্মৃতি মনে পড়ছে।’

পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির অন্যতম উপদেষ্টা হানিফ মোহাম্মদ রাজু বলেন, ‘অনেক চেষ্টার পর ৪০ বছর পূর্তি আয়োজন করা হলো। সাত শতাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী উৎসবে অংশ নিতে নিবন্ধন করেছিলেন। প্রায় সবাই এসেছেন। উৎসব আনন্দময় করতে ব্যান্ডের গান ও নাটকের আয়োজন ছিল। সবাই মিলে খুব আনন্দ করে দিনটি কাটিয়েছি।’

ওমর ফারুক নাঈম/কেআই