বরাবরই ভিন্ন কথা-সুরের গান করে থাকেন ভারতের নন্দিত সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। এবার তিনি সৃষ্টি করলেন নতুন এক গান। যার নাম দিয়েছেন ‘জয় বাংলা ভৈরব’। তিনি নিজেই ফেসবুকে পোস্ট করে গানটির কথা জানিয়েছেন। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে।

কবীর সুমন ফেসবুকে পোস্ট করে লেখেন, 'জয় বাংলা। আজ ২৮, ০২, ২১, সকালে একটি নতুন রাগ তৈরি করলাম। নাম রাখলাম 'জয় বাংলা ভৈরব'। এই রাগে আমি বাংলা খেয়াল বন্দিশ ও আধুনিক বাংলা গান বানাব'। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, এই রাগের ওপর বাংলা খেয়াল যেমন গাইব তেমনই এই মুহূর্তের উপযুক্ত বাংলা গানও বানাব, গাইব। জয় বাংলা। বাংলা জিতবেই আর বিরোধীরা হারবেই।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার নির্বাচনের আগে আগে কবীর সুমনের এমন গান কৌতূহল সৃষ্টি করেছে তার ভক্তদের মনে।

কবীর সুমন আরও বলেন, '‌বাংলা জিতবেই এবং বিরোধীরা হারবেই'।‌ এ প্রসঙ্গে তিনি ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, '‌সংগীত মানেই রাজনীতি। যে কোনো উচ্চারণ, কিংবা হাসি-কান্নাও কিন্তু রাজনৈতিক। বহুদিন ধরেই রাগ রচনা করছি। আসলে বাংলায় সেভাবে সংগীত নিয়ে আলোচনা হয় না। শুধু হেমন্ত-মান্না ছাড়া। আমি আধুনিক বাংলা গানে নাম করেছি ঠিক। কিন্তু আমার অধ্যবসায় হিন্দুস্তানি খেয়ালে। বাংলায় খেয়াল আগে হয়েছে, তবে মাঝে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন আবারও হচ্ছে। আমি বহুদিন ধরেই আমার মাতৃভাষাতে খেয়াল রচনা করছি এবং গাইছি।‌’

তিনি আরও বলেন, ‌“আমি বাংলার মানুষ। রাজনৈতিকভাবে আমি অসাড় নই। আগেও আমি রাজনৈতিক গান তৈরি করেছি। আজকে আমার একটাই স্লোগান ‘জয় বাংলা’‌। কেন্দ্রীয় সরকার এবং তাদের দালালরা বাংলায় একপ্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমি আরও কিছু রাগ তৈরি করে চলেছি। ‘'কন্যাশ্রী'‌ রাগও তৈরি করেছি আগে। আলাদা করে ভৈরব বলব না। '‌জয় বাংলা'‌ই‌ বলব। পাঁচটা স্বরে তৈরি করেছি এই রাগ।”

তিনি আরও বলেন, ‘এই গানগুলো অবশ্যই ভোটের প্রচারের হাতিয়ার হবে। নামকরণেই তো রাজনৈতিক ইঙ্গিত রয়েছে। খেয়ালের গান হিসেবে যেমন থাকবে, আধুনিক গান হিসেবেও থাকবে। আশা করছি, মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে জানেন। মমতা ব্যানার্জি আছেন বলেই রাজ্য সংগীত একাডেমিতে খেয়াল শেখানো শুরু হয়েছে। তাই সবার আগে তাকে শোনাবো।’

এপিবি/আজকাল/আরআইজে