তরুণ সংগীতশিল্পী তাসরিফ খান। নিজের গড়া ব্যান্ড ‘কুঁড়েঘর’সহ এরই মধ্যে নতুন প্রজন্মের কাছে বেশ পরিচিতি পেয়েছেন। গত বছর বন্যা কবলিত সিলেট-সুনামগঞ্জসহ আরও কিছু এলাকার মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে বেশ প্রশংসা কুড়ান তিনি। বিশেষ করে অনলাইনে ২ কোটির বেশি টাকা তুলে সিলেটে তার সাহায্য করার বিষয়টি দেশজুড়ে আলোড়ন তোলে।

রোববার (১৮ জুন) রাজধানীর ‘আপন নিবাস’ বৃদ্ধাশ্রমে কিছুক্ষণ কাটিয়ে এলেন তিনি। সেখানে অসহায় মায়েদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে উঠেছিলেন এই গায়ক। এ সময় তাদের খোঁজখবর নেন, সুখ-দুঃখের কথা জানতে চান। যাওয়ার সময় তাদের জন্য উপহার হিসেবে ‘ডিপ ফ্রিজ’ নিয়ে গিয়েছিলেন।

ফ্রিজ দেওয়ার কারণ জানিয়ে ফেসবুক পোস্টে তাসরিফ লেখেন, ‘যেহেতু সামনে কোরবানি ঈদ আসছে এবং ঈদে অনেকেই বৃদ্ধাশ্রমে গোশত পাঠায়। তাই আমার মনে হয়েছে ফ্রিজটা ওনাদের কাজে আসবে।’

এর এক দিন আগে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘কিছু দিন ধরে খুব ইচ্ছা করছে কোন বৃদ্ধাশ্রমে যেয়ে সময় কাটাতে। ঢাকার আশপাশে কোনো চেনাজানা বৃদ্ধাশ্রম এর সন্ধান জানলে আমায় জানান প্লিজ।’ এরপরই আপন নিবাসে যান এ গায়ক।

অসহায় ও দুস্থদের পাশে বরাবরই দাঁড়াতে দেখা যায় সংগীতশিল্পী তাসরিফকে। এবারের রোজায় ৩০ জনকে স্বাবলম্বী করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছিলেন তিনি। ঋণগ্রস্ত যুবককে কিনে দিয়েছেন বাইক। যাতে তা দিয়ে তিনি উপার্জন করতে পারেন। তাছাড়া রিকশা চুরি যাওয়া এক অসহায় ব্যক্তিকে রিকশা কিনে দিয়েছেন তিনি।

অসুস্থ মানুষদের পাশেও দাঁড়াতে দেখা গেছে তাসরিফকে। দান করেছেন মাদ্রাসাতেও। বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে দেখা গেছে তাসরিফকে। অনেক দাম দিয়ে কিনেছিলেন একটি পোড়া গেঞ্জি। তাছাড়া তিনি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এমন কিছু মানুষের কথা তুলে ধরেছিলেন যারা মুখ ফুটে তাদের ক্ষতির কথা বলতে পারছিলেন না। নিয়মিতই মানবসেবায় নিয়জিত থাকেন এই গায়ক।

এছাড়া চলতি বছর প্রথমবারের মতো লেখক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন তিনি। তার লেখা বইয়ের নাম ‘বাইশের বন্যা’। গত বছর বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকার মানুষকে সাহায্য করতে গিয়ে নানা বিচিত্র অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন তাসরিফ খান। সেখান থেকে ১০টা গল্প নিয়েই তার এই বই।

কেএইচটি