করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক। ৯ এপ্রিল (শুক্রবার) সুস্থ হয়ে বাসায়ও ফিরেছিলেন। কিন্তু ঠিক একদিন পর হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয় তার। 

এরপর মিতা হককে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু এবার আর ফেরা হলো না শিল্পীর। সবাইকে বিদায় জানিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। 

মিতা হকের মৃত্যুতে এরইমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে শোক প্রকাশ করছেন তারকারা। তার প্রিয় শিষ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী অণিমা রায় লিখেন, ‘মিতা আপা। গুরু আমার। আমিতো কাঙ্গাল হয়ে গেলাম।’

অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী লেখেন, ‌‘উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক। আমাদের প্রাণের মানুষ, মিতা আপা। 
চলে গেলেন সবাইকে ছেড়ে। আর কোনওদিন দেখতে পাবো না। শুনতে পাবো না আপনার গান। গভীর শ্রদ্ধা।’

অভিনেত্রী ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর লেখেন, ‘আমার চোখে পুরো বিশ্বের বুকে যেই শিল্পীর গান এবং ব্যক্তিত্ব সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয়, যার গান শুনে আমার জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় কেটেছে। আমার সবচেয়ে প্রিয় সেই বরেণ্য সঙ্গীত শিল্পী, শিক্ষক মিতা হক একটু আগে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। আপা আপনি ভালো থাকবেন।’

মেয়ে ফারহিন খান জয়িতা ও স্বামী খালেদ খানের সঙ্গে মিতা হক

ঊর্মিলা আরও লেখেন, ‘আপনি সবসময় আমার প্রিয় শিল্পী ছিলেন আর আজীবন থাকবেন। দেখা হবে হয়তো অন্য কোনও দেশে, অন্য কোনওভাবে। ঈশ্বর আপনাকে ভালো রাখুক। আমি তোমাকে অসংখ্য ভাবে ভালোবেসেছি, অসংখ্যবার ভালোবেসেছি, এক জীবনের পর অন্য জীবনেও ভালোবেসেছি, বছরের পর বছর, সর্বদা, সবসময়।’

সংগীতশিল্পী, সংগীত পরিচালক আশিকুজ্জামান টুলু লেখেন, ‘মিতা হক চলে গেলেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন। বিশ্বাস করা সম্ভব না।’

সংগীতশিল্পী নবনীতা চৌধুরী লিখেছেন, ‘আমার ‘চিরবন্ধু, চিরনির্ভব’ মিতা হক আর নাই। ‘চিরপ্রীতি সুধানির্ঝর তুমি হে হৃদয়েশ’। কীভাবে বিদায বলি তাঁকে! আমি শোকগ্রস্ত। গভীর শোক আমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। সে চলে গেল, বলে গেল না.. সে   কোথায় গেল ফিরে এল না। সে যেতে যেতে চেয়ে গেল, কী যেন গেয়ে গেল.. তাই আপন-মনে বসে আছি কুসুমবনেতে।’

এমআরএম