দীর্ঘসময় ধরে ছোটপর্দা দাপিয়ে বেরিয়েছে যশ-মধুমিতা জুটি। এরপর ২০১৬ সালে মিমির হাত ধরে ‘গ্যাংস্টার’ যশ পা রাখেন টালিউডে। ‘বোঝে না সে বোঝে না’ শেষ হওয়ার পর নিজেদের মতো করে ক্যারিয়ার গুছিয়েছেন যশ ও মধুমিতা। ছোট পর্দার গণ্ডি পেরিয়ে বড় পর্দার সফরও শুরু করেছেন দুজনেই। তবুও একসঙ্গে কাজ করতে লম্বা সময় লাগল দুজনেরই। 

মুক্তির পর ইউটিউবে হইচই ফেলে দিয়েছে ‘যশমিতা’র মিউজিক ভিডিও ‘ও মন রে’। দুই দিনেরও কম সময়ে গানের ভিউ ২০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। পাঁচ বছর পর অরণ্য-পাখির রি-ইউনিয়ন ব্যাপক সফল তা মানতেই হচ্ছে। 

এর আগে বহুবার যশ-মধুমিতার ইগোর লড়াই বা ঝগড়ার গুঞ্জন টালিউডে ভেসে বেড়িয়েছে। বার কয়েক একসঙ্গে কাজের কথা হলেও শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসেছেন হিরো বা হিরোইন- এমনটাও শোনা গেছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মধুমিতার সঙ্গে মনোমালিন্য নিয়ে মুখ খুলেছেন যশ। ঝগড়া নয়, তবে মতপার্থক্য ছিল এমনটা জানিয়েছেন ছোটপর্দার অরণ্য সিং রায়। 

ভারতীয় গণমাধ্যমকে যশ জানিয়েছেন, ‘ধারাবাহিকে ১৭-১৮ ঘণ্টা ধরে শুটিং করতাম আমরা। টেলিভিশনে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। ঠিকমতো ঘুম হতো না, এমনিতেই বিরক্ত লাগে। মধুমিতার সঙ্গে আমার বিরাট কোনো সমস্যা ছিল তা নয়, কোনোদিন শুটিং ফ্লোরে মুখোমুখি আমাদের ঝামেলা হয়নি। তবে হ্যাঁ, এটা ঠিক আমরা কোনোদিনই ভালো বন্ধু ছিলাম না। কিন্তু বন্ধুত্ব না থাকলে যে কাজ করা যায় না তেমনটা নয়।’ 

যশের সঙ্গে তিন নায়িকার জুটি নিয়ে চর্চার শেষ নেই সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারমধ্যে একজন আবার যশের বর্তমান সঙ্গীও নুসরাত জাহান। মধুমিতা-মিমি না নুসরাত, কার সঙ্গে নিজের জুটিটা সেরা বলে মনে করেন যশ? দক্ষ কূটনীতিবিদের মতো যশের জবাব, ‘আমার তিনজনের সঙ্গেই কাজ করতে ভালো লাগে। কিন্তু কার সঙ্গে আমাকে ভালো লাগছে সেটা দর্শক ঠিক করেন। আমার ব্যক্তিগত ধারণা প্রত্যেক জুটিরই নির্দিষ্ট ফ্যান-ফলোয়ার রয়েছে।’

এইচকে