মেয়েরা কোনও রকম পণ্যসামগ্রী নয়। বিবাহের মণ্ডপে কোনোভাবেই তাকে দান করা শিরোধার্য নয়। এই নিয়ে সমাজ, সোশাল মিডিয়া উত্তাল অনেকদিন ধরেই। আর এবার সেই ভাবনাতেই সহমত জানালেন বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট।

আলিয়ার বক্তব্যে, ‘কন্যাদান নয়! কন্যামান!’ মোহে ফ্যাশনের একটি বিজ্ঞাপনে এই সামাজিক ব্যাখ্যার উত্তর দিয়েছেন তিনি। বিয়ের মণ্ডপে বসে থাকা আলিয়ার মনে অনেক প্রশ্ন। তার জিজ্ঞাস্য, মেয়েরা পরের সম্পত্তি কেন? তাদের নিজের বলে কি কিছুই হয় না? ছোট থেকে একটি মেয়ে যখন বড় হয় কেন বারবার তাকে এটিই মনে করানো হয় সেই ছোট্ট সুখের বাড়িটা সারাজীবনের জন্য তার নয়? কেন বাবা মা এবং পরিবারের সকলে এই কথা বলে না নিজের মেয়ে কখনই পর নয়। মেয়েরা কি দান করার বস্তু? তাহলে সম্পর্কে বাঁধা যখন দুজনেই পড়বে শুধু কন্যাদান কেন?

তবে বিজ্ঞাপনের সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যনীয়, ছোট্ট একটি উদ্যোগ! ভিডিওতে দেখা যায় এক দারুণ সূচনা করলেন ছেলের মা। তিনি নিজ হাতে ছেলের হাত এগিয়ে দিলেন মেয়ের হাতে। কিছুটা অবাক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেশ প্রাণবন্ত একটি হাসি দিলেন আলিয়া। সত্যিই তো, শুধু বিজ্ঞাপনের সাপেক্ষে আলিয়া নন এমন প্রতিটা মেয়ের মনেই জড়িয়ে আছে এই ভাবনাটি। নতুন জীবনে পদার্পণের আগে হাজার স্বপ্ন চোখে নিয়েই প্রহর কাটে মেয়েদের। আর এমন সুন্দর যদি শুরু হয় তবে এর থেকে আনন্দদায়ক কিছুই হয় না।

কন্যাদান আদৌ কি যুক্তিযুক্ত? একজন রক্ত মাংসের মানুষকে কোনভাবে কোনও রীতিনীতি মেনে পণ্যের ন্যায় দান করা যায়? বাংলা চলচ্চিত্রে ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’ এই প্রসঙ্গে অনেক প্রশ্নই তুলে ধরেছে। মেয়েরা দানের সামগ্রী নয়। তাদের সর্বত্রই ভালোবাসা দিয়ে অর্জন করতে হয়। আলিয়ার এই বিজ্ঞাপনটি ফের সমাজের নানান আশ্চর্য নিয়মের দিকে আঙুল তুলেছে। বিজ্ঞাপনের সারমর্মে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে এই বার্তা পৌঁছানোর চেষ্টাই লক্ষণীয়। ছোট ছোট করেই বদল আনা জরুরি। 

সূত্র : ইন্ডিয়ান ইক্সপ্রেস

আরআইজে