দুর্গাপূজা মানেই নিজেকে নতুনভাবে সাজানো। সাজ নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার এর চেয়ে ভাল সময় আর কী হতে পারে? আর এই সাজগোজ পছন্দ মানুষগুলোর তালিকায় রয়েছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলাও। বাঙালি শাড়ির বদলে নতুন ‘লুক’-এ ধরা দিলেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জির স্ত্রী। সেই সাজ ক্যামেরাবন্দি করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইন।

মিথিলা শুধু অভিনেত্রীই নন। তিনি একাধারে শিক্ষিকা, সমাজসেবী, অভিনেত্রী, মা, স্ত্রী। ওইদিন ফটোশুটের দিন ধরা পড়ল তার নানা রূপ। কখনও মা হিসেবে মেয়ের দুপুরের খাওয়ার খোঁজ নিচ্ছেন, কখনও বা ক্যামেরার সামনে মোহময়ী। কখনও কখনও পড়াশোনা নিয়েও কথা বলছেন মিথিলা।

সৃজিতের বাড়ির স্টুডিও এবং ছাদে মিথিলার ছবি তোলা হয়েছে। ফটোশুটের শুরুতেই মিথিলা জানালেন, তিনি সাধারণত ফটোশুট করান না। পড়াশোনা, সংসার, সন্তান পালন, অভিনয় ইত্যাদির জন্যই সময় হয় না তার।

ফটোশুট চলাকালীন মিথিলাকন্যা আয়রা এবং সৃজিতের ভাগ্নি স্পন্দনা মাঝে মাঝেই স্টুডিওতে আসছিল। শুধু তাই নয়, খুদে আর কিশোরী তাদের মতামতও প্রকাশ করছিল। তাদের উপস্থিতি শুটকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলছিল।

শুটের মাঝে বিকেলে আচমকা সৃজিতের আগমনে সবাই চমকে ওঠেন। সেদিনই মুম্বাই থেকে ফিরেছেন তিনি। কন্যা এবং ভাগ্নির পিছু ধরে তিনিও স্ত্রীর ফটোশুটে এসেছিলেন। মিথিলার লম্বা গাউন দেখে মশকরা করে বললেন, ‘এই পোশাক তো পুরো হাওড়া ব্রিজ।’ আরও নানা বিষয়ে ঠাট্টা করতেই মিথিলার বকা খেয়ে নিচ তলায় চলে গেলেন সৃজিত।

বাড়ির ছাদে গিয়ে ফটোশুট হয়। সেখান মরিচ গাছের পাশাপাশি দেখা যায় শাক সবজিও। এগুলো দিয়েই বাড়িতে রান্না হয় বলে জানান মিথিলা।

এদিকে মিথিলাকে সাজানোর দায়িত্বে কলকাতার তারকা-স্টাইলিস্ট সন্দীপ জয়সওয়াল। তিনি মোট চারটি পোশাকে সাজিয়ে তুলেছিলেন মিথিলাকে। সন্দীপ বললেন, ‘মিথিলাকে সবাই এক ধরনের ‘লুক’-এ দেখে এসেছে। তাই ভাবলাম, হট প্যান্ট, গাউন বা নেটের শাড়িতে সাজালে কেমন লাগে? আর তাই এই চার রকম পোশাক বেঁছে নিয়েছি।’

এমএইচএস