লুইপা ও আলমগীর

চারিদিকে শুরু হয়ে গেছে শীতের আগমনী বার্তা। এর মাঝেই কিনা ‘বাদলের গান’ প্রকাশ করলেন এই সময়ের নন্দিত গায়িকা জিনিয়া জাফরিন লুইপা। গতকাল (১২ নভেম্বর) নিজের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আকারে গানটি উন্মুক্ত করেন তিনি। আর এই গানের রেশ ধরেই যেন আজ (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে শহর জুড়ে শুরু হয়েছে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি! এ যেন অদ্ভূত এক গীত-শীতের মেলবন্ধন।

এ পর্যন্ত যারা গানচিত্রটি উপভোগ করেছেন প্রত্যেকেই এটিকে ভাসিয়েছেন প্রশংসায়। এর কথা ও সুর করেছেন নোমান সজীব। সংগীতায়োজনে জাহিদ নীরব। ভিডিওতে রাজকীয় অবয়বে হাজির হয়েছেন গায়িকা লুইপা। তার সঙ্গে রয়েছেন অর্ণব অন্তু। গান, নৃত্য, গল্প আর ড্রামটিক আয়োজনের ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন দেশের জনপ্রিয় ড্রামবাদক আলমগীর হোসেন। যিনি কিনা আবার লুইপার সংসার সঙ্গী।

গানটি নিয়ে লুইপা বলেন, ‘এক দশকের ক্যারিয়ারে অনেক গানই করেছি। তবে এটি আমার কাছে অনেক বেশি স্পেশাল। কারণ এটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন আমার জীবনের স্পেশাল মানুষটি। অডিও থেকে ভিডিও হওয়া পর্যন্ত গানটির জন্য তিনি যে চিন্তা করেছেন, শ্রম দিয়েছেন তা মুখে বলে শেষ করা যাবে না।’

গায়িকা আরও যোগ করেন, “শীতের মধ্যে ‘বাদলের গান’। ভাবছেন অসময়ী? আসলে ভালোবাসার কোনো রং নেই। আর মনের আকাশের রোদ বৃষ্টির ও কোনো নিয়ম নেই। কৃতজ্ঞতা গানটির সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার কাছে।’

ভিডিওতে লুইপা ও অর্ণব অন্তু

গানটির ভিডিও নির্মাতা ও লুইপার স্বামী আলমগীর হোসেন, ‘আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি কাজটি ভালো করতে। কাজটি করতে গিয়ে অনেক অভিজ্ঞতাও হয়েছে। যা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে আশাকরি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যারা কাজটির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, সহায়তা করেছেন সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার অনেক যত্নে করা কাজ এটি। ভুল-ত্রুটি হয়ত অনেক-ই আছে! কিন্তু ভালোবাসাও আছে। সবার ভালো লাগলেই পরিশ্রম স্বার্থক হবে।’

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১২ জুলাই ভালোবেসে বিয়ে করেন ড্রামবাদক আলমগীর হোসেন ও সেরাকণ্ঠ খ্যাত লুইপা। ১৯৯৭ সালে তবলাবাদক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন আলমগীর। ২০০০ সাল থেকে হয়ে যান প্রফেশনাল ড্রামবাদক। দেশের নামিদামি, প্রতিষ্ঠিত অসংখ্য শিল্পীর সঙ্গে বাজিয়েছেন তিনি। বাজাতে গেছেন অস্ট্রেলিয়া, জাপান, রাশিয়া, চীন, হংকংসহ বিশ্বের প্রায় ১৫টি দেশে। স্বামী-স্ত্রীর গানের সংসারে এবার বিশেষ যোগ ‘বাদলের গান’।

আরআইজে