সুরের পথে ছুটে চলছেন স্বপ্নীল রাজীব
২০০৭ সালে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ আয়োজিত ‘রবীন্দ্রসংগীত প্রতিযোগিতা’র মাধ্যমে সংগীতাঙ্গনে পরিচিতি পান তরুণ গায়ক স্বপ্নীল রাজীব। সেই প্রতিযোগিতায় প্রথম মান অর্জন করেন শুদ্ধ সুরে গাওয়া এই গায়ক। এর পাঁচ বছর পর ২০১২ সালে স্বনামেই তিনি প্রকাশ করেন নিজের প্রথম একক অ্যালবাম।
এরপর গত নয় বছরে বিভিন্ন মিক্সড অ্যালবাম ও নাটকে প্রায় ২০টি গানে কণ্ঠ দেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন প্রাইভেট চ্যানেলসহ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সংগীতশিল্পী হিসেবে নিয়মিত গান করে আসছেন। পাচ্ছেন শ্রোতাদের ভালোবাসাও।
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে বেশকিছু মৌলিক গান নিয়ে কাজ করেছেন স্বপ্নীল রাজীব। এরমধ্যে মেলোডি, মর্ডান ফোক ও সেমি ক্লাসিক্যাল ধাঁচের গানই বেশি। গানগুলোর কথা লিখেছেন লুৎফর হাসান, মারুফ হাসান, কে জিয়া ও ডা. ইমরান হোসাইন। সুর করেছেন তরুন মুন্সী, কে জিয়া, ডা. ইমরান হোসাইন এবং স্বপ্নীল রাজীব নিজে। সংগীতায়োজনে রয়েছেন বিনোদ রায়, জাহিদ বাসার পংকজ, মীর মাসুম, আমজাদ হোসাইন ও অয়ন চাকলাদার।
স্বপ্নীল রাজীব বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে আছি। এই মাধ্যমে বড় কিছু করার স্বপ্ন নিয়েই পথ চলছি। জীবনে এমন কিছু গান করে যেতে চাই যেগুলোর জন্য মানুষ আমাকে আজীবন মনে রাখবে। প্রতিনিয়ত সেই চেষ্টাটাই করে যাচ্ছি।’
বিজ্ঞাপন
গানের পাশাপাশি বর্তমানে ঢাকা সেনানিবাসের একটি বিশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রয়াস-এ মিউজিক থেরাপিস্ট হিসেবে কর্মরত আছেন সিলেট সুনামগঞ্জের ছেলে স্বপ্নীল।
পরিবারে সংগীতের পরিবেশ ও চর্চা থাকায় গানের প্রতি স্বপ্নীল রাজীবের আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই। বাবার চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জেলায় যেতে হয়েছে তাকে। তার প্রথম হাতেখড়ি নোয়াখালীতে, ওস্তাদ রমানাথ সেনের কাছ থেকে। এরপর সিলেটে গিয়ে তালিম নেন পণ্ডিত রামকানাই দাসের কাছে। এরমধ্যেই ২০০০ সালে সিলেট থেকে শিক্ষা সপ্তাহ আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুরস্কার পান। যা তার হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর ঢাকা মিউজিক কলেজে থেকে মিউজিক নিয়ে অনার্স-মাস্টার্স করেন তিনি। ঢাকায় সুজিত মোস্তফা এবং শ্রী অসীত দের মত গুণীর কাছ থেকেও তালিম নেন তিনি। এছাড়াও ছয় বছর ছায়ানটে রবীন্দ্রসংগীতের তালিম নিয়েছেন। সংগীতে বড় কিছু করার স্বপ্ন থেকেই স্বপ্নীল রাজীবের এই ছুটে চলা।
আরআইজে