ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধায়ক ও অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের প্রেমের গুঞ্জন মাস কয়েক আগে ডানা মেলেছিল। সেই বিতর্কের আঁচে ঘি ঢেলেছিলেন কাঞ্চন পত্নী পিঙ্কি। কাঞ্চনের সঙ্গে তিনি এক ছাদের তলায় না থাকা থেকে শুরু করে দাম্পত্য জীবনের বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেছিলেন। প্রেম সম্পর্কের কথা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। তবে এ জুটি নিয়ে আলোচনা থামেনি। 

আলোচনা শুরুর পর থেকেই দীর্ঘসময় ধরে সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে খুব সচেতনভাবেই পরস্পকে এড়িয়ে চলতেন তারা। অবশেষে নবমী নিশিতে একফ্রেমে ধরা দিয়েছিলেন। তাও আবার ম্যাচিং পোশাকে। এবার ফের একত্রে এই প্রেমিক যুগল। একদিকে ‘লাভলি লাভলি’ বলে চেঁচিয়ে উঠলেন শ্রীময়ী। অন্যদিকে কাঞ্চন বলছেন, ‘আরও জোরে হাততালি হবে’।

জানা গেছে, বর্ধমানের কালনায় এক অনুষ্ঠানে একসঙ্গে হাজির ছিলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। আর সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন শ্রীময়ী নিজে। মাইক হাতে দর্শকদের উদ্দেশে শ্রীময়ীর বার্তা, ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি কিন্তু দেখতেই হবে, না হলে খুকু এসে সকলকে পেঁপে দিয়ে চেপে দেবে।’

এরপর প্রিয় মদনদার সিগনেচার স্টাইলে ‘লাভলি লাভলি’ বলে চেঁচাতে থাকেন। শ্রীময়ীর মোবাইল ফোনে লেন্সবন্দি হন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনও।

এই ভিডিও শেয়ার করে শ্রীময়ীর বার্তা, ‘আমরা অর্থাৎ শিল্পীরা অক্সিজেন পাই তোমাদের মানে দর্শকদের ভালোবাসায়…আমরা শিল্পীরা বেঁচে থাকি দর্শকদের জন্য…তোমরা ভালোবেসে আমাদের আপন করে নাও বলে, শত শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা মাথায় নিয়ে আমরাও যেমন পরিশ্রম করি, ঠিক তেমরাও আমাদের দেখবে বলে, রাতের পর রাত জেগে, কুয়াশা মাথায় নিয়ে, আমাদের শিল্পীদের অনুষ্ঠান উপভোগ কর!’

মাস কয়েক আগেই শ্রীময়ীর সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে আবদ্ধ রয়েছে কাঞ্চন এমন অভিযোগ তুলেছিলেন পিঙ্কি। এমনকি কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ পর্যন্ত করেছিলেন পিঙ্কি। তার দাবি ছিল, গাড়ি আটকে তাকে ও তার সন্তানকে হুমকি দিয়েছিলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। পরে স্ত্রীর নামে পাল্টা এফআইআর করেন কাঞ্চন। 

‘মাচা’ অনুষ্ঠানে একসঙ্গে ধরা দেওয়া নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করেননি কাঞ্চন-শ্রীময়ী। তবে এক সংবাদমাধ্যমকে পিঙ্কি জানিয়েছেন মনের কথা। তিনি বলেন, ‘আমার মা-বাবা, ভাই-ছেলেকে নিয়ে নিজের মতো করে জীবন গুছিয়ে নিয়েছি। জানি, ঝড় উঠবে। বারেবারে অতীত সামনে এসে দাঁড়াবে। আমি ভেঙে পড়ব না।’ হিন্দস্তানটাইমস।

ওএফ