পাশের বাড়ির মেয়েটির মতো পর্দায় হাজির হয়েছিলেন মধুমিতা সরকার। ‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিরিয়ালের মাধ্যমে পেয়েছিলেন তুমুল জনপ্রিয়তা। এই নাটকে ‘পাখি’ চরিত্রে অভিনয় করে তিনি এতোটাই পরিচিতি পেয়েছেন যে, মধুমিতার বদলে অধিকাংশ ভক্ত এখনো তাকে পাখি বলেই সম্বোধন করে।

সেই পাখি অবশ্য এখন অতীত অধ্যায়। মধুমিতা নিজের পালক খসিয়ে মেলে ধরেছেন। স্বল্প পোশাকে, সাহসী অবয়বে ধরা দিয়েছেন সিনেমার পর্দায়। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় তো প্রতিনিয়তই খোলামেলা ছবি শেয়ার করে চলেছেন।

মধুমিতার রূপ পরিবর্তনের বিষয় নিয়ে বিতর্ক, সমালোচনা নিত্য দিনের ব্যাপার। এসবে এখন তিনি অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। কলকাতার গণমাধ্যমকে মধুমিতা বলেন, “আমাকে এখনও খোলামেলা ছবি বা ছোট পোশাকে দেখলে তথাকথিত অনুরাগীরা মন্তব্য লেখেন, ‘পাখি’ কেন এভাবে! আপনাকে সালোয়ার-কামিজেই বেশি ভাল লাগে। সনাতনী সাজে আপনি বেশি সুন্দরী!”

অভিনেত্রীর মতে, নারীকে এখনো ভোগ্যপণ্য মনে করেন বঙ্গ অঞ্চলের মানুষ। পাশ্চাত্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মুম্বাইয়ে কিছুটা উন্নতি এসেছে। তবে বাংলায় পরিস্থিতি আগের মতোই। মধুমিতা বলেন, “বিশ্বাস করতে না চাইলেও এটাই সত্যি। বিদেশ বা মুম্বাই বদলেছে। নিজের শরীর নিজের দায়িত্ব, এই নীতিবোধে বিশ্বাসী তারা। ফলে কে কার শরীর দেখাল, তাকে প্রকাশ্যে আনল, তা নিয়ে কেউ মাথাই ঘামায় না! বলিউডের নায়িকারাও যথেষ্ট সাহসী। তাদের অনেকেরই এমএমএস ফাঁস হয়েছে। এরপরও তারা স্বাভাবিকভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন। ব্যতিক্রম কেবল বাংলা, নীতিবাগীশ! শরীর সামান্য আবরণহীন হলেই গেল-গেল রব। এখনও আমাদের রাজ্যে, শহরে মেয়েদের শরীরের খোঁজই সবাই রাখেন। মনের খোঁজ কেউ নেন না। সেই আশা করাও যেন অন্যায়।’’

সম্প্রতি মধুমিতা কাজ করেছেন ‘উত্তরণ’ নামের একটি ওয়েব সিরিজে। যেখানে দেখা যাবে, বিয়ে করে ঘর বেঁধেছেন পর্না। স্বামীকে নিয়ে সুখের সংসার। স্কুলে শিক্ষকতা করেন। সবার কাছেই তার চমৎকার গ্রহণযোগ্যতা। কিন্তু হঠাৎ তার শারীরিক সম্পর্কের একটি ভিডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। ছড়িয়ে যায় চারদিকে। রাতারাতি তছনছ হয়ে যায় পর্নার জীবন ও সংসার।

এই সিরিজে পর্নার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মধুমিতা। তার স্বামীর চরিত্রে আছেন রাজদ্বীপ। জয়দীপ মুখার্জি পরিচালিত সিরিজটি প্রচার হবে হইচই-তে।

কেআই/আরআইজে