এই সময়ের ব্যস্ত সুরকার-সংগীত পরিচালকদের একজন জাহিদ নিরব। ২০১৫ সালে ‘আয়নাবাজি’ সিনেমার গানে হারমোনিয়াম বাজিয়ে ব্যান্ড ‘চিরকুট’ এর সঙ্গে পথচলা শুরু করেন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ব্যান্ডের পাশাপাশি একক ক্যারিয়ার নিয়েও এগিয়ে যাচ্ছেন।

২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিন শতাধিক বিজ্ঞাপনের মিউজিক করেছেন জাহিদ নিরব। পাশাপাশি বেশ কিছু শর্ট ফিল্ম, ওয়েব ফিল্মের আবহসংগীত করেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ওয়েব ফিল্ম হলো-‘মহানগর’, ‘মুন্সিগিরি’, ‘দ্য ডার্ক সাইড অব ঢাকা’ এবং ‘তিথির অসুখ’।

তবে চলতি বছরের শুরুতেই ওয়েব ফিল্মে অন্যরকম চমক দিলেন জাহিদ নিরব। রায়হান রাফির পরিচালনায় সম্প্রতি ‘চরকি’তে মুক্তি পাওয়া ওয়েব ফিল্মে ‘টান’-এর আবহ সংগীতের পাশাপাশি এর চারটি গানের সবগুলোর সুর এবং সংগীত পরিচালনা করেছেন এই তরুণ। এবারই প্রথম আবহ সংগীতের গন্ডি পেরিয়ে ওয়েব ফিল্মের জন্য গান করলেন তিনি। আর এই গানগুলোর জন্য সবার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়াও পাচ্ছেন। যেখানে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন বুবলী ও সিয়াম।

এরমধ্যে ‘কি করি’ শিরোনামের গানটির জন্য সবচেয়ে বেশি প্রশংসা কুড়িয়েছেন জাহিদ নিরব। যাতে কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী জুটি ইমরান ও কনা। এছাড়া এই ওয়েব ফিল্মের ‘জীবন দিলাম’ গানটি গেয়েছেন জাহিদ নিরব ও মাশা ইসলাম। ‘ললিত’-এ এককভাবে কণ্ঠ দিয়েছেন জাহিদ নিরব। মাহমুদুল হাসান ও রাসেল মাহমুদকে নিয়ে ‘কে যে দেয় কারে সাজা’ গানটিও গেয়েছেন জাহিদ নিরব।

ঢাকা পোস্টকে এই সুরকার-সংগীত পরিচালক বলেন, ‘এতদিন তো শুরু ওয়েব ফিল্মের আবহসংগীত করেছি। এবার প্রথমবারের মতো গান করেছি। তাও আবার সবগুলো। তাই এ নিয়ে বাড়তি একটা উত্তেজনা কাজ করছিল। সবার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়ে খুব ভালো লাগছে।’

এদিকে পূর্ণাঙ্গ সিনেমায়ও কাজ করছেন জাহিদ নিরব। গত বছর মুক্তি পাওয়া ‘পদ্মপুরান’ এর মাধ্যমে সিনেমাতে অভিষেক হয়েছে তার। পুরো সিনেমাটির আবহসংগীত ও থিম গানটির কম্পোজিশন করেছেন তিনি। যা বেশ প্রশংসাও কুড়ায়।

জাহিদ নিরব জানান, বর্তমানে তার হাতে রয়েছে চারটি সিনেমার কাজ। এগুলো হলো রাশিদ পলাশ পরিচালিত ‘প্রীতিলতা’ ও ‘ময়ূরাক্ষী’ এবং রায়হান রাফি পরিচালিত ‘নূর’ ও ‘পরাণ’। আবহসংগীতের পাশাপাশি প্রথম তিনটি সিনেমার সবগুলো গানও বানাচ্ছেন তিনি। আর শেষ সিনেমার থাকছে তার করা একটি গান। সব মিলিয়ে সিনেমার গানে এখন বেশ সরব জাহিদ নিরব।

আরআইজে