কলকাতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠল
কলকাতায় ৫ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) শুরু হয়েছে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’। চলচ্চিত্র উৎসবের পাশাপাশি এবার থাকছে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শিরোনামে চিত্রপ্রদর্শনী। রবীন্দ্রসদনের নন্দন-১ হলে পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবের তৃতীয় আসর উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
উৎসবে আরও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা ও নির্মতা ব্রাত্য বসু, পরিচালক গৌতম ঘোষ, চিত্রনায়িকা জয়া আহসান, নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি, ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ও ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান।
বিজ্ঞাপন
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে বাংলাদেশের সিনেমার শুরু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনজরের কারণে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার সিনেমা শুরু। যার এখন অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আমরা বাঙালি, এটি আমাদের আসল পরিচয়। তাই সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান দিয়ে আমাদের মধ্যে আরও একাত্বতা তৈরি হবে।’
উৎসবে এবার প্রদর্শন হবে ৩২টি সিনেমা। সেগুলো জালালের গল্প, কৃষ্ণপক্ষ, অজ্ঞাতনামা, আঁখি ও তার বন্ধুরা, ফাগুন হাওয়ায়, ইতি তোমারই ঢাকা ও রাজাধিরাজ রাজ্জাক। ছুঁয়ে দিলে মন, আন্ডার কনস্ট্রাকশন, পদ্ম পাতার জল, বাপজানের বায়স্কোপ, মুসাফির, আয়নাবাজি, সত্তা, ভুবনমাঝি, সেরা নায়ক, পোড়ামন ২, দেবী, আবার বসন্ত, ইন্দুবালা, শাহেনশাহ, অন্তরজ্বালা, মায়া দ্য লস্ট মাদার, কাঠবিড়ালী, একাত্তরের গণহহত্যা ও বধ্যভূমি, জন্মসাথী, গণআদালত, হীরালাল সেন, কাঙ্গাল হরিনাথ, ইসমাইলের মা, শাটল ট্রেন ও ন ডরাই।
বিজ্ঞাপন
উদ্বোধনী সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হয় ‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’। নন্দনের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে দেখানো হবে সব সিনেমা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রদর্শনীর সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, প্রেক্ষাগৃহগুলোতে ৮০ শতাংশ আসন দর্শকদের জন্য বরাদ্দ রাখা হবে এবং প্রবেশের সময় মাস্ক বাধ্যতামূলক থাকবে।
এমআরএম