আলোচনা-সমালোচনার আরেক নাম কঙ্গনা রানাউত। তাই হয়ত প্রশংসার পরই সমালোচনা করলেন তিনি। ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’ দেখে আলিয়া ভাটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন কঙ্গনা। সপ্তাহ ঘুরতেই সঞ্জয় লীলা ভান্সালীর ছবির ব্যবসা ৩৯ কোটি টাকা। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কঙ্গনার কটাক্ষের শিকার পর্দার ‘গাঙ্গুবাই’। অভিনেত্রীর দাবি, নামি পরিচালক, প্রচারবিদদের ঢক্কানিনাদ এবং বাণিজ্য বিশ্লেষকদের গাণিতিক বিশ্লেষণ ছাড়াই তার ‘মণিকর্ণিকা’ মাত্র তিন দিনে ছুঁয়েছিল ৪৩ কোটি, বড় বাজেটের ছবি না হয়েও।

প্রথম দিনেই ১০ কোটির ঘরে ঢুকে পড়েছে সঞ্জয়-আলিয়া জুটির প্রথম ছবি। চোখ ধাঁধানো সেট, আলিয়ার দাপট, অজয় দেবগনের উপস্থিতি, শ্রেয়া ঘোষালের গান এবং শেষে কামাথিপুরার বারবণিতার দেবীত্বে উত্তরণ- সবমিলিয়ে ছবিটি নিয়ে উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল মুক্তির আগে থেকেই। ভারতের শহরে শহরে মুখ্য অভিনেত্রীর প্রচার সফর বাড়তি মাত্রা যোগ করেছিল তাতে। ফলে ছবি মুক্তির প্রথম দিনেই বাণিজ্যিক দিক থেকে বলিউডের তৃতীয় সর্বোচ্চ ছবির তকমা লেগে গেছে ‘গাঙ্গুবাই’-এর গায়ে। প্রিমিয়ারে জনজোয়ারে ভেসেছেন অভিনেত্রী। ছবির ফলাফল দেখে বিস্মিত প্রদর্শক থেকে প্রযোজক। দর্শকদের চাপে মুম্বাইয়ের একটি প্রেক্ষাগৃহ রাত ১টার সময় বিশেষ শো দেখাতে বাধ্য হয়েছে।

আলিয়ার অনুরাগীদের দাবি, ৫০ শতাংশ দর্শকাসন নিয়েই এ ফলাফল। ১০০ শতাংশ দর্শক প্রেক্ষাগৃহে আসতে পারলে এ সংখ্যা দ্বিগুণ হতো। তাদের কথায়, কঙ্গনার ‘মণিকর্ণিকা’ মহামারির আগে মুক্তি পেয়েছিল। ফলে শতভাগ দর্শক প্রেক্ষাগৃহে আসতে পেরেছিল। তাই ছবির ব্যবসা অনেকটাই বেশি ছিল। এ ফলাফলেই তার প্রতিদ্বন্দ্বীর রাতের ঘুম কেড়েছেন আলিয়া। পরিসংখ্যান বলছে, তিনিই এখন ভারতের সেরা নায়িকা। এভাবে নাম না করে কঙ্গনাকে বিঁধতেই সোমবার তোপ দেগেছেন বলিউডের ‘কুইন’।

কঙ্গনার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন তার দিদি রঙ্গোলি চান্দেলও। তিনি এ দিন সকালে কঙ্গনার আগামী ছবি ‘ধকড়’-এর একটি ছবি পোস্ট করেন টুইটারে। লেখেন, অভিনেত্রীর আগামী ছবি মুক্তি পাবে চলতি বছরেই। আশা, কঙ্গনা নিজের তৈরি রেকর্ড নিজেই ভাঙবেন নতুন ছবি তৈরি করে। তারই উত্তরে কঙ্গনা বলেন, ‘কারও সঙ্গে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। আমার সঙ্গে কারও তুলনাও টানছি না। তবে আবারও নামি পরিচালক, ৫০০ কোটির বাজেট, প্রচারবিদদের প্রচার এবং বাণিজ্য বিশ্লেষকদের গাণিতিক বিশ্লেষণ ছাড়াই আমার ছবি রেকর্ড গড়বে। ঠিক যেমনটি গড়েছিল ‘মণিকর্ণিকা’।’ নাম না নিয়েই তার দাবি, তিনি আসল প্রতিভা। তিনিই শেষ হাসি হাসবেন।

কঙ্গনার আরও যুক্তি, সঞ্জয় লীলা ভান্সালীর ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’ একা মুক্তি পেয়েছে। ‘মণিকর্ণিকা’র সময়ে কঙ্গনাকে পাল্লা দিতে হয়েছে ‘উরি’, ‘বালা’-র মতো ছবির সঙ্গে। তারপরও ছবির ওই ফলাফল। অভিনেত্রী নিজের পিঠ নিজেই চাপড়ে বলেছেন, তিনি একাই পুরো কৃতিত্বের দাবিদার। ইতিহাসের ঝাঁসির রানির দাপট তার মধ্যে রয়েছে। তাই শুধুমাত্র তার কাঁধে ভর করেই বাণিজ্য বৈতরণী পেরিয়েছিল ছবিটি।

এসএসএইচ