জিনাত আমান। সত্তর দশকের ডাকসাইটে সুন্দরী, পর্দা কাঁপানো অভিনেত্রী। আলোড়ন ফেলা প্রেম, বিয়ে এবং বিবাহবিচ্ছেদ— তার সবই ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই অভিনেত্রী বাস্তব জীবনে কতটা বজায় রাখতে পেরেছিলেন তার দাপট?

সাক্ষাৎকারে জীবনের অচেনা এক কোণের আড়াল সরিয়েছিলেন ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’, ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’, ‘ইয়াদোঁ কি বরাত’, ‘ডন’-সহ একের পর এক সুপারহিট ছবির নায়িকা। জানিয়েছিলেন, কীভাবে তার সাবেক স্বামী মাজহার খানের শেষ কাজে ব্রাত্যই রাখা হয়েছিল তাকে। ১৯৮৫ সালে মাজহারকে বিয়ে করেন জিনাত। জন্ম হয় তাদের দুই সন্তান আজান এবং জহান খানের। এরপর ১৯৯৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর কিডনি বিকল হয়ে মারা যান মাজহার। তার আগেই অবশ্য জিনাতের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছিল তার।

সাক্ষাৎকারে জিনাত বলেন, ‘মাজহারের মৃত্যু বিরাট একটা ধাক্কা হয়ে এসেছিল আমার কাছে। মানসিকভাবে ওর মৃত্যুর জন্য তো প্রস্তুত ছিলাম না। কিন্তু জানতাম না, আরও বড় ধাক্কা অপেক্ষা করছে আমার জন্য। ওর সঙ্গে আমার জীবনের এতগুলো বছর কেটেছে। ও আমার সন্তানদের বাবা। তাই আমি মাজহারের শেষ কাজে সামিল হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে সোজাসুজি বলে দেওয়া হয়, আমি যেন ওর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াতে গিয়ে শেষ শ্রদ্ধা না জানাই। মাজহারের পরিবার বোধহয় বিয়ে ভাঙার শাস্তি দিচ্ছিল আমাকে। তাই বলে এত ঘৃণা, এত রাগ…?’

তিনি জানান, বয়স বাড়তে থাকায় তিনি মা হওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েছিলেন। মূলত সেই কারণেই তার মাজহারকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত। তাদের সম্পর্ক গড়েই উঠেছিল পরিবার তৈরির আকাঙ্ক্ষায়। কিন্তু বিয়ে, সন্তানদের জন্মের পরে একটু একটু করে দূরত্ব বাড়ে দুজনের। তারপরে তিক্ততা বাড়তে বাড়তে এক সময়ে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন জিনাত।

এসএসএইচ