করোনাকালে মানবসেবা করেছেন যে বলিউড অভিনেত্রী
শিখা মালহোত্রা
বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে বেড়েছে দুশ্চিন্তা ও অর্থনৈতিক সমস্যা। এর মধ্যে অনেকেই সাহস ও দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এগিয়ে আসেন মানবতার কল্যাণে। তাদের একজনের নাম শিখা মালহোত্রা। যিনি বলিউডের গ্ল্যামার জীবন ছেড়ে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন মানুষের সেবায়।
২০১৬ সালে বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের প্রধান নায়িকা হিসেবে বলিউডে যাত্রা শুরু শিখা মালহোত্রার। সিনেমার নাম ‘কাঞ্চলি’। বোঝাই যাচ্ছে ইন্ডাস্ট্রিতে দারুণ এক ক্যারিয়ার অপেক্ষা করছিল তার জন্য। শক্ত এক অবস্থান তৈরি করে নেওয়ার সুযোগ ছিল।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু নিজের শহর মুম্বাইয়ে যখন করোনাভাইসারের সংক্রমণ শুরু হয়, শিখা মানুষের সেবায় কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ঠিক করেন গ্ল্যামার জগত নয়, বাস্তবে কাজে লাগাবেন তার নার্সিং ডিগ্রির শিক্ষা।
২০২০ সালে লকডাউন শুরুতে শিখা মালহোত্রা মুম্বাইয়ের বিভিন্ন হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘অভিনেত্রীর পরিচয়ের আগে আমি একজন নার্স। মানুষের জীবন-মৃত্যু, সুখ-দুঃখ, আবেগ এগুলো দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। যা আমাকে বদলে দিয়েছে। আমাকে আরও পরিণত করেছে।’
বিজ্ঞাপন
শিখা মালহোত্রা মুম্বাইয়ের একটি সরকারি হাসপাতালে কাজ করেন। সেখানে সব বয়সের করোনা রোগীকে সেবা দিয়েছেন। কিন্তু গত বছর অক্টোবরে তিনি নিজে করোনায় আক্রান্ত হন।
সুস্থ হওয়ার পর তিনি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যায় ভুগছেন। এমনকি তার শরীরের ডান পাশ দ্বিতীয়বারের মতো প্যারাইলাইজড হয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয়বার প্যারালাইজড হওয়া আমার জীবনের বড় ধাক্কা। প্রথমবার প্যারালাইজড হওয়ার পর আমি মনে করেছিলাম হয়তো আর হবে না।’
বতর্মানে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন শিখা মালহোত্রা। বাবা-মায়ের সাহায্য ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না বলে মনে করেন তিনি। সুস্থ হওয়ার পর নতুন করে ক্যারিয়ার শুরু করতে চান এই অভিনেত্রী। সিনেমার প্রস্তাবও আসছে ইদানিং। তবে প্রয়োজনে আবারও নার্সিং পেশায় প্রস্তুত রয়েছেন বলেও জানান এই করোনা যোদ্ধা।
এইচএকে/এমআরএম