ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বা বিএফডিসিতে। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের পর এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বহিরাগত কিছু মানুষকেও জড়ো হতে দেখা গেছে বলে জানা যায়।

পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য এফডিসিতে এসেছে পুলিশ। তেজগাঁও থানা থেকে একাধিক গাড়িসমেত পুলিশ সদস্যরা সিনেমার আঁতুড়ঘরে আসেন। যদিও দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক গণমাধ্যমকে জানান, তারা কেবল রুটিন টহল দিতে এসেছেন।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এফডিসি যেহেতু কেপিআইভূক্ত এলাকা। তাই এখানে নিয়মিতই আসি আমরা। এখনো সেভাবেই এসেছি।’

শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে বুধবার (২ মার্চ) হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন যে, জায়েদ খানের প্রার্থীতা বৈধ। এর ফলে দায়িত্ব পালনে তার আর কোনো বাধা নেই। কেননা নির্বাচনে তিনিই বিজয়ী হয়েছিলেন।

হাইকোর্টের রায়ের পর এফডিসিতে আসেন জায়েদ খান। শিল্পী সমিতির সামনে যান, কিন্তু প্রবেশ করতে পারেননি। কারণ সেখানে তালা লাগানো ছিল। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ আক্তারও গেছেন এফডিসিতে। তিনি অবস্থান নেন প্রযোজক সমিতির কার্যালয়ে।

দুই পক্ষের সমর্থকদের স্লোগান দিতেও শোনা যায়। এর ফলে পরিস্থিতি কিছুটা বেসামাল হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে বহিরাগতের আনাগোনাও দেখা গেছে। তবে পুলিশ আসার পর জটলা পাকানো বহিরাগতরা দৌড়ে পালিয়েছে বলে জানান পুলিশ পরিদর্শক।

এদিকে হাইকোর্টে জয় পাওয়ার পর নিপুণকে উদ্দেশ্য করে জায়েদ খান বলেন, ‘শিল্পী সমিতির নির্বাচন শুধু একটা মালা বদলের পালা মাত্র। নিপুণের উচিত ছিল মেনে নিয়ে ফুল দিয়ে আমাকে বরণ করা। তিনি আমার শিল্পী। আমি এ সমিতির সাধারণ সম্পাদক। তিনি আমার সমিতির সদস্য। আমার কথা হচ্ছে শিল্পীদের উন্নয়নে কাজ করে যাব। চেয়ার নিয়ে টানাটানি, এটা যেন তিনি না করেন। মানুষ যাতে শিল্পী সমিতিকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখে, এমন কাজ যাতে তিনি না করেন।’

অন্যদিকে নিপুণ জানিয়েছেন, তিনি এই রায়ে সন্তুষ্ট নন। এজন্য পুনরায় আপিল করবেন তিনি।

কেআই