চিত্রনায়িকা পরীমণির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেছে র‍্যাব। এরপর তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের, আদালতে নেওয়া এবং আদালতের নির্দেশে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর। এ সব খবর ইতোমধ্যে সবার কানেই পৌঁছেছে। বলা চলে গত দু’দিন ধরে ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ পরী গ্রেফতারের ঘটনাটি।

সিনেমায় কাজ করলেও পরীর সঙ্গে এই জগতের খুব বেশি মানুষের সখ্য নেই। বরং অদৃশ্য শত্রুর সংখ্যাই বেশি। হাতে গোনা যে’কজন ব্যক্তিকে এই নায়িকার পাশে দেখা যায় কিংবা যাদের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক রয়েছে বলে ইতোপূর্বে জানা গিয়েছে, তাদেরই একজন চয়নিকা চৌধুরী। সফল এই নাট্যনির্মাতা পরীকে নিয়েই বানিয়েছেন তার প্রথম সিনেমা ‘বিশ্বসুন্দরী’।

গত জুন মাসে উত্তরা বোট ক্লাব কাণ্ডে পরীমণীর পাশে ছিলেন চয়নিকা। ফেসবুকে লাইভের সময় কিংবা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের মুহূর্তগুলোতে তার ভরসার হাত ছিল পরীর কাঁধে। পরীও সে সময় চয়নিকাকে ‘মম’ বলে সম্বোধন করেন।

কিন্তু এবারের ঘটনায় চয়নিকাকে দেখা যায়নি পরীর পাশে। পরীর বাসায় তো দূরে থাক, ফেসবুকেও এ বিষয়ে কোনো স্ট্যাটাস দেননি তিনি। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন চয়নিকা। তিনি জানান, জুন মাসের ঘটনায় তিনি ছুটে গিয়েছিলেন দায়িত্ববোধ থেকে। সবার বিপদেই তিনি এমন এগিয়ে আসেন। এছাড়া পরী যেহেতু তার সিনেমার নায়িকা, সুতরাং সেই দিকটাও ছিল তার বিবেচনায়।

পরীমণির সঙ্গে পবিত্র সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেছেন চয়নিকা। বলেছেন, ‘এবারের ঘটনার সময় আমি ফেসবুকে ছিলাম না। সন্ধ্যার দিকে সুবর্ণা আপু ফোন করার পর জানতে পারি। তখন ৬টার বেশি বাজে। সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকে ঢুকে দেখলাম। কী করবো বুঝতে পারছিলাম না। এরমধ্যে লাইভও বন্ধ হয়ে গেছে। র‌্যাব সদস্যরা ঢুকেছে ওর বাসায়। তখন আমি ছুটে যেতে পারতাম, কিন্তু ঢুকতে তো পারতাম না। এখানে আমার আসলে কিছু করার ছিলো না।’

এদিকে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাত থেকেই চয়নিকা চৌধুরীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জানা গেছে, তিনি নিজের আকাউন্ট ডিএক্টিভেট করেছেন। পরী ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে নানারকম নেতিবাচক মন্তব্য দেখা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব সাইবার আক্রমণ থেকে দূরে থাকতেই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভ করেছেন চয়নিকা।

কেআই