ঢাকাই সিনেমার অন্যতম গ্ল্যামারাস ও সুদর্শনা নায়িকা পরীমণি। সৌন্দর্যে-গড়নে তিনি যে কারোর চেয়ে এগিয়ে। তাইতো পরীমণি বলতেই যেন সবার চোখে ভেসে ওঠে কল্পনার পরীর রূপ। সিনেমার ঝলমলে জীবনের বাইরে এই নায়িকা একজন সুন্দর মনের মানুষও। তার মানবিকবোধ প্রশংসিত হয়েছে বারংবার। অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেকে অনন্যা হিসেবে জাহির করেছেন।

পরীমণি ক্যারিয়ার শুরু করেছেন সবে অর্ধ যুগ। এই অল্প সময়েই তিনি অর্থ-পরিচিতি দুটোই কামিয়েছেন। তবে অর্জনের সবটা নিজের কাছে রেখে দেননি। বরং অন্যদের মাঝেও বিলিয়ে দিয়েছেন। কখনো প্রতিবন্ধী, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কাছে ছুটে গিয়েছেন, সহায়তা দিয়েছেন, আবার কখনো এফডিসিতে কোরবানি দিয়ে অসহায় কলাকুশলীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন।

২০১৬ সাল থেকেই এফডিসিতে কোরবানি দিয়ে আসছেন পরীমণি। গত ঈদেও তিনি একসঙ্গে ৬টি গরু কোরবানি দিয়েছেন সিনেমা সংশ্লিষ্ট সামর্থ্যহীন মানুষদের জন্য। পরী চাইলে কেবল অর্থ দিয়ে দিতে পারতেন, কিংবা গরু কিনে পাঠিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু না, প্রতি বছরই তিনি এফডিসিতে গিয়ে নিজের হাতে সবার হাতে কোরবানির মাংস তুলে দিয়েছেন। এমনটা অন্য কোনো নায়ক কিংবা নায়িকাকে করতে দেখা যায়নি।

পরীর মানবিকতার আরেকটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ দেখা যায় তার জন্মদিনে। জীবনের বিশেষ এই দিনে তিনি ছুটে যান অসহায় শিশুদের কাছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তাদের সঙ্গে থাকেন, আনন্দ-উল্লাস করেন। শিশুদের নানা উপহার দেন, খাবারের ব্যবস্থা করেন। এক মুহূর্তের জন্য অসহায় শিশুদের মলিন মুখে ফুটে ওঠে ঝলমলে হাসি।

যদিও প্রচারে কিংবা চর্চায় উঠে আসে তার জন্মদিনের জমকালো পার্টির খবর। কিছুটা আড়ালেই থেকে যায় তার মানবিক কাজগুলো। কিছু দিন আগেও ‘হোপ ফর চেঞ্জ ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংগঠনের মাধ্যমে রাজধানীর শ্যামলী, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকার সুবিধাবঞ্চিত অন্তত ৫০০ শিশুর জন্য সহায়তা দিয়েছেন পরী।

পেশাগত কিংবা ব্যক্তিগত কিছু ঘটনার কারণে পরিমণি বিতর্কিত হয়েছেন বটে। কিন্তু তাতে কি মলিন হয়ে যাবে তার মানবিক কাজগুলো? না, যাদের মুখে তিনি হাসি ফুটিয়েছেন, তারা পরীকে মনে রাখবেন একজন মহিয়সী নারী হিসেবেই। তাদের হৃদয়ে সবসময় সম্মান আর ভালোবাসার জায়গায় লেখা থাকবে পরীমণির নাম।

কেআই