ঢাকাই সিনেমার সর্বকালের সেরা নায়ক রাজ্জাক। এজন্য তাকে বলা হয় নায়করাজ। দীর্ঘ পাঁচ দশক তিনি মিশে ছিলেন সিনেমার সঙ্গে। মাতিয়েছেন দর্শকদের, সমৃদ্ধ করেছেন বাংলা ভাষার সিনেমাকে। কিংবদন্তি এই নায়ক ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট না ফেরার দেশে চলে গেছেন। আজ তার মৃত্যুবার্ষিকী। এ দিনে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন দর্শক থেকে শুরু করে সিনেমা অঙ্গনের মানুষেরা।

নায়করাজের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক ছিল সুপারস্টার শাকিব খানের। তার অভিভাবকের মতো ছিলেন রাজ্জাক। তাই নায়করাজের প্রয়াণে একেবারে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন শাকিব। আজও প্রিয় অভিভাবকের শূন্যতা তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়।

শাকিব খান তার ফেসবুক পেজে নায়করাজের স্মরণে লিখেছেন, ‘দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের কয়েক প্রজন্মের কাছে তিনি আইকনিক অধ্যায়। একটা সময় আমাদের দেশে ভিনদেশি সিনেমার প্রভাব ছিল। তখন তার আবির্ভাব হয়। তিনি নায়ক রাজ রাজ্জাক। তিনি তার অভিনয় দিয়ে দর্শকদের বাংলা সিনেমামুখী করেছিলেন। নিজেই তৈরি করেছিলেন এক স্বতন্ত্র অবস্থান। অভিনয় দক্ষতায় সব ধরণের মানুষের কাছে নায়কদের শিরোমণি হয়ে উঠেছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক। তাই কোটি বাঙালির হৃদয়ে আজও তিনি বেঁচে আছেন। যতোদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাংলাদেশের সিনেমা থাকবে ততোদিনই তিনি আমাদের সকলের হৃদয়ে অহংকার হয়ে থাকবেন।’

নায়করাজের কাছ থেকে ভালোবাসা ও পরামর্শ পেতেন শাকিব। সে কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘নায়করাজ রাজ্জাক ছিলেন আমার মাথার ওপরে সুবিশাল আকাশ। ছায়া-মায়ায় আগলে রেখে ভালোবাসা ও পরামর্শ দিতেন। অনেকদিন দেখা না হলেও কিভাবে যেন বুঝে যেতেন কীসের মধ্যে আছি, এটাই বুঝি আত্মার সম্পর্ক!’

নায়করাজ রাজ্জাকের আত্মার শান্তি কামনা করে শাকিব লিখেছেন, ‘আজ (২১ আগস্ট) নায়করাজ রাজ্জাকের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। আপনাকে হারানো আমার কাছে নিজের অভিভাবক হারানোর মতো বেদনার। আমার বিশ্বাস, চোখের সামনে না থাকলেও আপনার অদৃশ্য স্নেহ সবসময়ই আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি। শান্তিতে থাকুন আমাদের নায়করাজ।’

কেআই/আরআইজে