বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা সেন্টমার্টিন। বঙ্গোপসাগরের নীল জলের মাঝে ভেসে থাকা এই ভূখণ্ড দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। নজর জুড়ানো এই দ্বীপের কথাই এবার উঠে আসল হলিউডের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর মুখে।

সেন্টমার্টিনের চারপাশে সামুদ্রিক সুরক্ষিত অঞ্চল গড়ে তোলায় বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্কারজয়ী এই তারকা। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) রাতে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে সেন্টমার্টিনের একটি ছবি পোস্ট করে নিজের অভিমত তুলে ধরেন ডিক্যাপ্রিও।

তিনি লেখেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপের চারপাশে নতুন প্রতিষ্ঠিত সামুদ্রিক সুরক্ষিত অঞ্চলের জন্য বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং এনজিওগুলোকে অভিনন্দন, যা জীববৈচিত্র্যের একটি অসাধারণ পরিমণ্ডলকে রক্ষা করবে এবং বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল প্রাচীরের জন্য প্রাকৃতিক আবাসস্থল জোগান দেবে।’

সেন্টমার্টিনের বিশেষত্বের বর্ণনা দিয়ে ডিক্যাপ্রিও লেখেন, ‘গ্রীষ্মমণ্ডলীয় পানিতে দেশটির একমাত্র প্রবাল দ্বীপ, নতুন ঘোষিত সংরক্ষিত সামুদ্রিক অঞ্চলটি ইন্দো-প্যাসিফিক হাম্পব্যাক ডলফিন ও বিপন্ন হাঙরের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে।’

আগামীর পরিকল্পনা নিয়েও একটি পরামর্শ দেন ‘টাইটানিক’-এর জ্যাক। তিনি জানান, সেন্টমার্টিন অঞ্চলের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সংরক্ষণ ও মানুষকে সচেতন করা। সেই সঙ্গে গার্হস্থ্য বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষয়প্রাপ্ত প্রবাল পুনরুদ্ধারের কাজটি করতে হবে।

উল্লেখ্য, অনেক বছর ধরেই বৈশ্বিক জলবায়ু নিয়ে কাজ করছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত পোস্টই বেশি দেখা যায়। এবারই প্রথম বাংলাদেশের কথা উঠে এলো ডিক্যাপ্রিওর ভার্চুয়াল দেয়ালে।

বলে রাখা প্রয়োজন, বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য সেন্টমার্টিন দ্বীপ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের প্রায় ১ হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে ‘সেন্টমার্টিন সামুদ্রিক সুরক্ষিত অঞ্চল’ ঘোষণা করেছে। এর ফলে জাহাজের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল, অতিরিক্ত মাছ ধরা, বর্জ্য ও রাসায়নিক পদার্থের ডাম্পিং এবং প্রবাল প্রাচীর ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর সবকিছু রোধ করা হবে।

কেআই