হাতে ছিল না এক আনাও। ছাত্রজীবন শেষে বাল্যবন্ধুর বাবার পেনশনের টাকায় শুরু করেন ব্যবসা। কিন্তু পুরোটাই লস। তবে মনোবল হারাননি, থেমেও যাননি। দ্বিতীয় দফায় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে শুরু করেন ব্যবসা।

আর পেছনে তাকাতে হয়নি। মেধা আর যোগ্যতা দিয়ে গত ৪০ বছরে একে একে ২৭টি শিল্প-কারখানা গড়ে তুলেছেন মোহাম্মদ মহসীন। নাম দিয়েছেন সা’দ মুসা গ্রুপ। যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে ১৫ হাজার মানুষের। সাহসী এই উদ্যোক্তার স্বপ্ন ২০২৪ সালে গ্রুপটিতে ৬০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তখন গ্রুপটির বার্ষিক টার্ন-ওভার দাঁড়াবে এক বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি আয় হবে সাত হাজার কোটি টাকা। দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে যা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

মোহাম্মদ মহসীনের পরিচয়

মোহাম্মদ মহসীন সা’দ মুসা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। তিনি চট্টগ্রামের সম্ভ্রান্ত এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএস)। ছয় ভাই, তিন বোন তারা। স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেন। দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জনক তিনি। সবাই শিক্ষাজীবন শেষে কর্মরত। বর্তমানে ১০ হাজার কোটি টাকার ২৭টি কোম্পানির মালিক মোহাম্মদ মহসীন।

মেধা আর যোগ্যতা দিয়ে গত ৪০ বছরে একে একে ২৭টি শিল্প-কারখানা গড়ে তুলেছেন মোহাম্মদ মহসীন। নাম দিয়েছেন সা’দ মুসা গ্রুপ। যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে ১৫ হাজার মানুষের। সাহসী এই উদ্যোক্তার স্বপ্ন ২০২৪ সালে গ্রুপটিতে ৬০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তখন গ্রুপটির বার্ষিক টার্ন-ওভার দাঁড়াবে এক বিলিয়ন ডলার

যেভাবে ব্যবসায় আসা

শিক্ষাজীবনেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন বাপ-চাচাদের মতো চাকরি করবেন না। জীবন চালাবেন একটু আরাম-আয়েশে, মামাদের মতো ব্যবসায়ী হবেন। যেই কথা সেই কাজ। ১৯৮০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় বাল্যবন্ধু শওকতের বাবার কাছ থেকে চার লাখ টাকা ধার নিয়ে ‘মেসার্স ডরি’ নামের একটি দোকান দেন। যেখানে ক্রীড়ার সামগ্রী ও গাড়ির পার্টস বিক্রি করতেন। কিন্তু লোকসানে পড়ে বন্ধ করে দিতে হয় সেই ব্যবসা।

আরও পড়ুন >> ২০ টাকা বেতনের চাকরি দিয়ে শুরু, এখন মাসে আয় ৩ লাখ

১৯৮২ সালে দ্বিতীয় দফায় পূবালী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ‘ডিপার্টমেন্টাল স্টোর’ দেন। নতুন ব্যবসায় জামা-কাপড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন কসমেটিকস ও স্টেশনারি পণ্য বিক্রি শুরু করেন। পরে সেই ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে হাত দেন জাহাজ ভাঙা শিল্পে। কিছুদিন পর সেটিও ছেড়ে দেন। এরপর কক্সবাজার থেকে চিংড়ি রপ্তানি শুরু করেন। প্রতিষ্ঠানের নাম দেন ‘ব্রাইট সি-ফুড’।

১৯৯৫ সালে ‘চিটাগাং ফাইবার বোর্ড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করেন। হাজারীবাগের ট্যানারি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে প্রথমে লেদার, পরে স্লাইভার ক্যাপ উৎপাদন শুরু করেন। এটি জুট মিলে সুতার কাজে ব্যবহৃত হতো। দেশেই স্লাইভার ক্যাপ উৎপাদন হওয়ায় জুট মিলগুলো বিদেশ থেকে তা আমদানি বন্ধ করে দেয়। দেশের সব কারখানায় স্লাইভার ক্যাপ জোগান দিতে শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এই পণ্যের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের গার্মেন্টসের সঙ্গে পরিচয় হয় মোহাম্মদ মহসীনের। সেখান থেকে টেক্সটাইল জগতে যাত্রা শুরু হয় সা’দ মুসা গ্রুপের।

এ প্রসঙ্গে সা’দ মুসা গ্রুপের এমডি মোহাম্মদ মহসীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আব্বার ইচ্ছা ছিল সরকারি চাকরি করব। কিন্তু তার কথা রাখিনি। কারণ, আমার মামারা ছিলেন ব্যবসায়ী। তারা বেশ সচ্ছল ছিলেন। বাবা সরকারি চাকরি করায় চলতে হতো কষ্ট করে। তাই ভালোভাবে চলার জন্য বন্ধু শওকতের বাবার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে ব্যবসা শুরু করি। টাকাগুলো ছিল পেনশনের।’

‘টাকা নেওয়ার সময় আব্বা আমাকে উপদেশ দিয়েছিলেন, পার্টনারশিপে ব্যবসা হয় না। ছোট-ছোট বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। তবে, শওকতের আব্বা কখনও টাকা নিয়ে কথা বলেননি। প্রথম ব্যবসাতেই লস। দ্বিতীয় দফায় পূবালী ব্যাংক থেকে ২০ লাখ টাকা ঋণ নেই। ডিপার্টমেন্টাল স্টোর দেই। পরবর্তীতে সেটা ছেড়ে শিপ ব্রেকিং ও চিংড়ির ব্যবসা শুরু করি।’

১৯৯৫ সালে ‘চিটাগাং ফাইবার বোর্ড’ নামে কোম্পানি গঠন করে নতুন ব্যবসা শুরু করি— বলেন মহসীন।

‘ব্যবসার শুরুতে যখন মাল সাপ্লাই দিতে বড় বড় কারখানায় যেতাম, তখন আমার খুবই লজ্জা লাগত। কারণ, ওদের কারখানার টয়লেটের সমপরিমাণ জায়গাও আমার ছিল না। আলহামদুলিল্লাহ, এখন সেই পরিস্থিতি আর নেই।  গত বছর আমি আমার কারখানা দেখতে যাই। শখের বসে হাঁটতে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। পরে গাড়ি নিয়ে ফিরে আসি। সবকিছুই আল্লাহর দান। ১৯৯৫ সালে প্রথম টেক্সটাইল ব্যবসা শুরু করি। তারপর আর পেছনে ফিরতে হয়নি।’

সা’দ মুসা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ মহসীন / ছবি- ঢাকা পোস্ট

বর্তমানে যেমন চলছে

পোশাক খাতে আসার পর একে একে গড়ে তুলেছেন ২৭টি প্রতিষ্ঠান। এগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম ফেব্রিক্স বোর্ড লিমিটেড, সা’দ মুসা ফেব্রিক্স লিমিটেড, এম এ রহমান ডায়িং ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, সা’দ মুসা হোম টেক্সটাইল অ্যান্ড ক্লথিং লিমিটেড, দেশ কম্পিউটার, মার্স অটোমোবাইলস, সা’দ মুসা হাউজিং কমপ্লেক্স লিমিটেড, হাসনি বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড, আল মুস্তফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, আহমদি অয়েল মিলস লিমিটেড, ক্রিসেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, রোকেয়া স্পিনিং মিলস লিমিটেড, এমদাদ এতিমিয়া স্পিনিং মিলস লিমিটেড, সুলতান হাবিবা ফেব্রিক্স লিমিটেড, মাহমুদ সাজিদ কটন মিলস লিমিটেড, সায়মা সামিরা টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ও কর্ণফুলী জুট ট্রেডিং উল্লেখযোগ্য। প্রতিষ্ঠানগুলোতে বর্তমানে ১৫ হাজার মানুষ কাজ করছেন।

আরও পড়ুন >> এমবিএ করা তারেক মাছ চাষে দেশসেরা

১৯৮২ সাল থেকে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করলেও ২০১৬ সালে এসে ব্যবসায়িক টানাপোড়েনের মধ্যে পড়তে হয় সা’দ মুসা গ্রুপকে। পেছনের কারণ হিসেবে জানা যায়, ২০১৫ সালে আনোয়ারা শিল্পপার্কের কাজ শুরু করে গ্রুপটি। ওই সময় নয়টি শিল্পকারখানার জন্য ১২ লাখ বর্গফুটের ভবন তৈরিতে ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেও উৎপাদনে যেতে পারেনি তারা। এখানে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগ থেকে সরে আসে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতে বিশ্বব্যাপী শুরু হয় করোনা মহামারি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর শুরু হয় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। এসব কারণে সময় মতো ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি গ্রুপটি।

তবে, শিগগিরই এই অবস্থা কাটিয়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা করছে প্রতিষ্ঠানটি। সমস্যা থেকে উত্তরণে কয়েকটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। এসব প্রতিষ্ঠান ২৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায়। মাত্র ৩ শতাংশ সুদে এসব বিনিয়োগ আসবে বলে সা’দ মুসা গ্রুপ সূত্রে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ মহসীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আইসিবি থেকে যে টাকা পাওয়ার কথা ছিল সেটা এখন বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে পাচ্ছি। ৪০ বছর সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করায় কোনো ধরনের ব্যাংক গ্যারান্টি ছাড়াই এই টাকা দিচ্ছে তারা। সবকিছু এখন প্রসেসের মধ্যে রয়েছে। বিডা (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি পেলেই প্রকল্প চালু হবে। এতে ন্যূনতম ৩০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।

‘করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে চলমান বিশ্বব্যাপী মন্দার মধ্যেও বর্তমানে ১৫ হাজার মানুষ আমার সঙ্গে কাজ করছেন। চলতি বছর এ সংখ্যা আরও বাড়বে। সবমিলিয়ে ২০২৪ সালে মোট কর্মসংস্থান দাঁড়াবে ৬০ হাজার’— বলেন তিনি।

‘ব্যাংক ঋণের চেয়ে পাঁচ গুণের বেশি সম্পদ রয়েছে আমার’— উল্লেখ করে মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর নয় হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করেছি। গত ৪০ বছরে শ্রমিকদের বেতন দিয়েছি তিন হাজার কোটি টাকা। সরকারকে কর ও রাজস্ব দিয়েছি ৫০০ কোটি টাকা। বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল দিয়েছি এক হাজার ২০০ কোটি টাকা।’

সময় মতো ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আইসিবির সঙ্গে আমাদের (সা’দ মুসা গ্রুপ) ১৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের চুক্তি হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছ থেকে সাড়ে ৪৮ লাখ টাকার পে-অর্ডার দিয়ে অনুমতিপত্র গ্রহণ করি। সবকিছুই ঠিক, টাকা দেওয়ার সময় হঠাৎ আইসিবি ঋণ দিতে পারবে না বলে আন-অফিসিয়ালি জানায়। এ কারণে আমরা খেলাপি হয়ে পড়ি।’

‘১৯৮২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত আমাদের যে সুনাম ছিল, সেটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। আইসিবি টাকা দেবে বলেই ২০১৬ সালে নয়টি প্রজেক্টের ভবন নির্মাণসহ অন্যান্য কাজে আমরা ৯০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করি। কিন্তু তারা টাকা দিল না। ফলে ২০১৬ সাল থেকে ঋণ নিয়ে এখন সুদ টানতে হচ্ছে। বিদেশি মেশিনারিজ এনেও কারখানা চালু করতে পারিনি। উৎপাদনেও যেতে পারিনি। তবে, আমাদের কনফিডেন্স আছে, সমস্যার সমাধান করতে পারব। কারণ, আইসিবি থেকে যে টাকা পাওয়ার কথা ছিল তার চেয়ে বেশি টাকা আরও কম সুদে বিদেশিদের কাছ থেকে আমরা পাচ্ছি।’

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

আনোয়ারা শিল্পপার্ক : সা’দ মুসা গ্রুপের অন্যতম স্বপ্ন আনোয়ারা শিল্পপার্ক গড়ে তোলা। এ লক্ষ্যে চট্টগ্রামে ৮০০ থেকে ৯০০ বিঘা জমিতে সাতটি প্রজেক্ট চালু হয়েছে। এখানে মোট ৩২টি শিল্পকারখানা থাকবে। শিল্পপার্ক চালু হলে ৪০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য থাকবে আলাদা কলোনি। স্কুল-কলেজসহ থাকবে চিকিৎসা ও খেলাধুলার ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন >> বছরে খামার থেকে ২০০ গরু বিক্রি করেন শিহাব

সা’দ মুসা এডুকেশন ভিলেজ : চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন কর্ণফুলী টানেলের পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে সা’দ মুসা এডুকেশন ভিলেজ। এখানে ১০০ বিঘা জমির ওপর শিক্ষাপার্কের কার্যক্রম চলছে। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি প্লে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাচ্চাদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা থাকবে।

সা’দ মুসা এগ্রো প্রজেক্ট : নির্ভেজাল ও নিরাপদ খাদ্যপণ্য সরবরাহের লক্ষ্যে ৩০০ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলা হবে সা’দ মুসা এগ্রো প্রজেক্ট। এ প্রজেক্টে কোনো কীটনাশক ব্যবহার করা হবে না। ধান, গমসহ সবধরনের শস্য উৎপাদিত হবে এখানে।

সা’দ মুসা গ্রিন হাউজিং প্রজেক্ট : আনোয়ারা শিল্পপার্কের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ৩০০ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলা হচ্ছে আবাসন প্রকল্প। এখানে খেলার মাঠ, মসজিদসহ সবধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে।

সা’দ মুসা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালিটি ও সা’দ মুসা আইটি ভিলেজ : গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে ৪০ বিঘা জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে আধুনিক একটি হাসপাতাল। এছাড়া ১০ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলা হচ্ছে আইসিটি ভিলেজ। 

নতুন নতুন এসব প্রকল্পের বিষয়ে মোহাম্মদ মহসীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে ২০২৪ সালে গ্রুপের রপ্তানি আয় হবে সাত হাজার কোটি টাকা। কোম্পানির বার্ষিক টার্ন-ওভার দাঁড়াবে এক বিলিয়ন ডলারে।

‘আল্লাহ যদি আমাকে সুস্থ রাখেন, পরিবেশ যদি অনুকূলে থাকে তাহলে ২০২৬ সালের মধ্যে সব ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করতে পারব, ইনশাআল্লাহ।’

ইচ্ছা পুঁজিবাজারে আসা

বিদেশি বিনিয়োগ পেলে আনোয়ারা শিল্পপার্ক চালু হবে। এরপর কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার পরিকল্পনা রয়েছে গ্রুপটির। এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গ্রুপের ২৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫টি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার মতো অবস্থানে রয়েছে।

‘২০২৫ সালের পর পুঁজিবাজারে আসার পরিকল্পনা আছে আমাদের। এখন প্রধান টার্গেট ব্যাংকগুলোর ঋণ পরিশোধ করা। কারণ, তারা আমাদের অংশীজন। তারা আমাকে বিশ্বাস করেছে। তাদের বিশ্বাস রাখার দায়িত্ব আমার। খেলাপি হয়ে আছি। তারপরও পুঁজিবাজারে আসার চিন্তা আছে।’

এমআই/ওএফ/এমএআর/