একদিনে এক কোটি ডোজ টিকা প্রয়োগের লক্ষ্যে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে গণটিকাদান কর্মসূচি। সরকারের এই গণটিকাদান কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের টিকাকেন্দ্রে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও ২০০ ভ্যাক্সিনেটর।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠন।

এতে বলা হয়েছে, করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণকল্পে মোট জনসংখ্যার ৭০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আর সে লক্ষ্যেই রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সরকারকে সহযোগিতা করছে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে একযোগে চলে এই গণটিকাদান কর্মসূচি। এতে করোনার প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আবদুল ওয়াহ্‌হাব জানান, দেশে করোনা মোকাবিলায় শুরু থেকে সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। আগামীতেও সরকারের এ ধরনের কর্মসূচিতে সোসাইটির পক্ষ থেকে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

মহামারিতে সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় নিজেদের নিয়োজিত করতে পেরে সোসাইটি গর্বিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে, সরকারের এই গণটিকাদানের পাশাপাশি আজও অব্যাহত ছিল বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের করোনার প্রথম ডোজ টিকা প্রদান কর্মসূচি। এদিন রাজধানীর পুরান ঢাকা ও চট্টগ্রামে সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে করোনা টিকা দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, সরকারের নির্দেশনায় রাজধানীর বস্তিবাসী, পরিবহন শ্রমিক, বাগেরহাটের দুবলার চরের জেলে সম্প্রদায়কে টিকার আওতায় আনার পুরো কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক ও ভ্যাকসিনেটর। কোকাকোলা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এ কার্যক্রমে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে আছে ইউএসএইড, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি), ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্যা রেড ক্রস (আইসিআরসি), সুইস রেড ক্রস, সুইডিশ রেড ক্রস ও ড্যানিশ রেড ক্রস।

টিআই/ওএফ