চতুর্থ ঢেউয়ের প্রভাবে দেশে আবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। এদিকে, ‘এই রোদ এই বৃষ্টি’ পরিবেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে তাপমাত্রার পরিবর্তন ও আবহাওয়াজনিত কারণে ভাইরাল ফিভার-এ বাড়ছে জ্বর-সর্দি। পরিবারের একজন সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হলে অন্যরাও আক্রান্ত হচ্ছে। কারো কারো পুরো ঘর পরিণত হচ্ছে ছোটখাটো একটা হাসপাতালে!

এ অবস্থায় করোনা, ডেঙ্গু, নাকি মৌসুমি জ্বর— জ্বর-সর্দির সাম্প্রতিক প্রবণতা নিয়ে বিশেষজ্ঞরাও দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। সঠিক কারণ বলতে পারছেন না তারা। তবে তাদের পরামর্শ, বেশি মাত্রায় জ্বর এলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। করোনা ও ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলার পাশাপাশি মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

বেসরকারি একটি ব্যাংকে চাকরি করেন মো. শরিফুল ইসলাম। গত পাঁচদিন ধরে দুই সন্তানসহ পরিবারের সবাই জ্বরে ভুগছেন। শুরুতে জ্বরে আক্রান্ত হন শরিফুল নিজে। এরপর ২ সন্তান, তারপর স্ত্রী; একে একে পরিবারের সবাই।

করোনা, ডেঙ্গু, নাকি মৌসুমি জ্বর— জ্বর-সর্দির সাম্প্রতিক প্রবণতা নিয়ে বিশেষজ্ঞরাও দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। সঠিক কারণ বলতে পারছেন না তারা। তবে তাদের পরামর্শ, বেশি মাত্রায় জ্বর এলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। করোনা ও ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলার পাশাপাশি মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

করোনা বা ডেঙ্গু পরীক্ষা করিয়েছেন কি না— জানতে চাইলে শরিফুল ইসলাম বলেন, এটা আসলে ওরকম জ্বর নয়। যেহেতু সিজন (ঋতু) পরিবর্তন হচ্ছে, আশা করছি সাধারণ জ্বর-সর্দিই হবে।  জ্বর আর হাঁচি-কাশি ছাড়া আর কোনো উপসর্গ নেই।

‘আমি এখন মোটামুটি সুস্থ, তবে স্ত্রী আর বাচ্চারা এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সবাই চিকিৎসা নিচ্ছি। দোয়া করবেন সবাই যেন সুস্থ হয়ে যায়।’

তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও আবহাওয়াজনিত কারণে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন রোগে। এখনই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন / ছবি- সংগৃহীত

ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্র রিশাদ হাসান (১২)। ঈদুল আজহার আগে হঠাৎ জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয় সে। সে সুস্থ হওয়ার আগে তার ছোট দুই ভাই রিদান ও রিহানও জ্বরে আক্রান্ত হয়। ঈদের ঠিক আগে তিন শিশু সন্তানের অসুস্থতায় বেশ বিপাকে পড়েন পুলিশ কর্মকর্তা রুহুল আমিন ও উম্মে কুলসুম দম্পতি। আনন্দের ঈদটা বিষাদে পরিণত হয়। আত্মীয়-স্বজন রেখে শহরের বাসায় নিঃসঙ্গ ঈদ উদযাপন করেন তারা।

তিন সন্তান সুস্থ হয়ে উঠতে না উঠতে জ্বরে আক্রান্ত হন উম্মে কুলসুম। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, টানা এক সপ্তাহ জ্বরে ভুগে মাত্র সুস্থ হয়েছি। কী যে একটা খারাপ সময় গেল, বলে বোঝাতে পারব না। আমরা বড় মানুষ অসুস্থ হলেও খুব বেশি সমস্যা হয় না। কিন্তু বাচ্চারা অসুস্থ হলে কোনোকিছু ভালো লাগে না।

‘ছেলেরা এখন সুস্থ, আমিও মোটামুটি ভালো। বাসায় অনেকদিন পর স্বস্তি ফিরেছে। মাঝে বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম যখন মেঝো ছেলেটার জ্বর হয়। এর একদিন পর আমিও অসুস্থ হয়ে পড়ি। এ অবস্থায় আমার বড় বোন এসে পরিবারের হাল ধরে। সেবাযত্ন করে সবাইকে সুস্থ করে তোলে। এখন শুনছি, আপারও জ্বর।’

আইইডিসিআর উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন / ছবি- সংগৃহীত

একজন থেকে পুরো পরিবার কেন আক্রান্ত হচ্ছে

একজন থেকে পুরো পরিবার কেন আক্রান্ত হচ্ছে— জানতে চাওয়া হয় জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান- আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেনের কাছে। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, সাধারণত করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে তার মাধ্যমে পুরো পরিবারে ছড়ায়। ইনফ্লুয়েঞ্জা হলেও একজন থেকে অন্যরা আক্রান্ত হতে পারে। অন্যান্য যেসব রেসপিরেটরি ভাইরাস দেখা যায় সেগুলোর কারণেও এমনটা হতে পারে। সব রোগ কিন্তু হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়।

‘এখন যে রেসপিরেটরি ইনফেকশনগুলো হচ্ছে, তার প্রধান কারণ হলো হাঁচি-কাশি ও শারীরিক স্পর্শ। অর্থাৎ সামাজিক দূরত্বের যে কথা বলা হচ্ছে সেটা অবশ্যই আমাদের মানতে হবে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যে নিয়ম, রেসপিরেটরি ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম।’ 

সাধারণ সর্দি-জ্বর ভেবে পরীক্ষা করাচ্ছেন না অনেকে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভাইরাসটি সাধারণ জ্বর নাকি মৌসুমি ইনফ্লুয়েঞ্জা নাকি করোনাভাইরাস বা ডেঙ্গু— এটি জানার জন্য তো পরীক্ষা করাতে হবে। এখন আপনি সাধারণ জ্বর ভেবে বসে থাকলেন, পরীক্ষা করালেন না; এতে তো আপনি সবাইকে ঝুঁকির মধ্যে ফেললেন। অথচ পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন এটা কী। সে অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে পারেন।

করোনার পাশাপাশি বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা / ছবি- সংগৃহীত

সাধারণ জ্বর-সর্দি, নাকি করোনা বা ডেঙ্গু

ড. মুশতাক আহমেদ বলেন, সাধারণত ডেঙ্গু হলে শারীরিক কিছু জটিলতা বিশেষ করে শরীরে ব্যাথা থাকে। ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে প্রথম দু-তিনদিন খুবই টায়ার্ড (ক্লান্তভাব) লাগে, কোনো কাজ করতে ইচ্ছা করে না। করোনাভাইরাস এখন অনেকটা সাধারণ জ্বরের মতো, মৃদু উপসর্গ দেখা যায়। যেহেতু আমরা টিকা নিয়েছি গুরুতর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এজন্য জ্বর হলে অবশ্যই পরীক্ষা করাতে হবে।

সর্দি-জ্বরে করণীয় কী— জানতে চাইলে তিনি বলেন, সর্দি-জ্বরের ক্ষেত্রে প্রথম করণীয় হলো পুরোপুরি বিশ্রামে যাওয়া। জ্বর-সর্দি না কমা পর্যন্ত বাইরে যাওয়া যাবে না। পুরোপুরি আইসোলেশনে থাকতে হবে। তরল খাবার বেশি করে খেতে হবে। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল এবং কাশি হলে গরম পানি, আদা বা লেবু চা খেতে হবে। দ্বিতীয় করণীয় হলো দ্রুত পরীক্ষা করে জানতে হবে সর্দি-জ্বর কেন হচ্ছে। কেউ যদি আইসোলেশনে না থাকে তাহলে পুরো পরিবার আক্রান্ত হতে পারে, সেটি সাধারণ সর্দি-জ্বর হলেও।

‘জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না। নিজের সিদ্ধান্তে অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিভাইরাল, স্টেরয়েড কোনোকিছুই খাওয়া যাবে না। অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে’— পরামর্শ এ চিকিৎসকের।

সর্দি-জ্বরে বেশি আক্রান্ত শিশুরা, কারণ কী

বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, সর্দি-জ্বরে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু-কিশোর। এ প্রসঙ্গে ঢাকা শিশু হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সারাবন তহুরা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সারা দেশেই সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। হাসপাতালে যেসব রোগী আসছে, তাদের অধিকাংশই জ্বর আর সর্দি-কাশি নিয়ে আসছে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি জ্বর নিয়ে বাচ্চারা ভর্তি হচ্ছে।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সারাবন তহুরা / ছবি- সংগৃহীত

‘এটা আসলে সাধারণ জ্বরও নয়। অনেকটা হাইগ্রেড ফিভার। প্রায় সময়ই দেখা যাচ্ছে করোনাও নয়, ডেঙ্গুও নয়। এটা কোনো ভাইরাল মিউটেশন কি না, সেটাও বলা যাচ্ছে না। কারণ, সব পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, এই সময়ে বাচ্চাদের অনেকের টাইফয়েডও হচ্ছে। কারণ, প্রচণ্ড গরমে অনেক সময় তারা বাইরের খাবার খায়। বিশেষ করে আইসক্রিম, জুস খায়। কিন্তু এগুলো কী দিয়ে তৈরি, সেটা দেখার সুযোগ থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে হয়তো জুস বা ড্রিংকসটা তৈরি হচ্ছে ভালো পানি দিয়ে, কিন্তু যে বরফটা ব্যবহার হচ্ছে সেটা হয়তো মানোত্তীর্ণ নয়। সেখানে টাইফয়েডের জীবাণু থাকে এবং এভাবে শিশুরা টাইফয়েডে আক্রান্ত হচ্ছে। 

জ্বর হলে শিশুদের প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য ওষুধ নয়

করণীয় প্রসঙ্গে ডা. সারাবন তহুরা বলেন, বাচ্চাদের জ্বর হলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যতক্ষণ চিকিৎসকের কাছে না আসবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত বাচ্চার শরীর থেকে বাড়তি কাপড় সরিয়ে দিতে হবে। হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনোভাবেই ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা যাবে না। প্যারাসিটামল-জাতীয় ওষুধ খাওয়াতে হবে। এর বাইরে অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য কোনো ওষুধ খাওয়ানো যাবে না।

মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা / ছবি- সংগৃহীত

‘যদি মনে হয় ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে, তাহলে অবশ্যই তিনদিনের আগে ডাক্তারের কাছে আসতে হবে। কারণ, তিনদিন পর ডেঙ্গু পরীক্ষা করলে নেগেটিভ রিপোর্ট আসবে। কিন্তু তখন প্লাটিলেট কমে যাওয়াসহ নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। যদি মনে হয় টাইফয়েড হয়েছে, জ্বরের তাপমাত্রা কোনোভাবেই একশর নিচে নামানো যাচ্ছে না, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়াতে হবে। কারণ, অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া টাইফয়েড ভালো হয় না।’

জ্বর-সর্দির বড় কারণ করোনাভাইরাস

দেশে এখন জ্বর-সর্দিজনিত রোগ বাড়ার বড় কারণ করোনাভাইরাস উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশে করোনার সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। আমরা দেখছি, পরীক্ষা করালেই করোনা পজিটিভ হচ্ছে। অনেকে পরীক্ষা করাচ্ছেন না। তারা ভাবছেন, করোনা নয়, সাধারণ জ্বর। কিন্তু আমাদের কেন্দ্রে যারাই পরীক্ষা করাচ্ছেন, প্রায় সবাই করোনা পজিটিভ হচ্ছেন।

‘শুধু যে আক্রান্ত (করোনা পজিটিভ) হচ্ছে তা কিন্তু নয়, মৃত্যুর ঘটনাও আছে। কিছু কিছু বিষয় হয়তো আমাদের নজরে আসছে, আবার অনেকগুলো নজরের বাইরে থেকে যাচ্ছে। সুতরাং এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে, ঈদ উদযাপন করতে আমরা যারা বাড়ি গিয়েছি, আবার ঢাকায় আসছি তাদের সতর্ক থাকতে হবে।’

বিএসএমএমইউ উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন / ছবি- সংগৃহীত 

বিশেষজ্ঞ এ চিকিৎসক বলেন, এখন করোনা বাড়তে দেওয়া ঠিক হবে না। সবাইকে যথাযথভাবে মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঘোষিত নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে।

কেউ বিধিনিষেধ মানছে না

করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া এবং ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বর প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সারা দেশেই এখন সর্দি-জ্বরের প্রকোপ চলছে। এর অন্যতম একটা কারণ হতে পারে করোনাভাইরাস। গত কয়েক সপ্তাহে দেশে করোনার সংক্রমণ শুধু বাড়ছে বললেই হবে না, যথেষ্ট পরিমাণে বেড়েছে। বারবার মানুষকে সাবধান করা হচ্ছে। তারপরও মানুষ বিধিনিষেধ মানছে না, কারও কথা শুনছে না।

‘আমার মতো যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তারাই এর গুরুত্বটা ভালো করে বুঝবেন’- বলেন খুরশীদ আলম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম / ছবি- সংগৃহীত

তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে একটা আশার কথা হলো, মানুষ সংক্রমিত হলেও ততটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় যাচ্ছে না। এ কারণে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ কম, মৃত্যুর হারও কম। সম্প্রতি আবারও মৃত্যুর হার বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় সংক্রমণ যদি এভাবে বাড়তে থাকে, তাহলে পরিস্থিতি হয়তো পাল্টে যাবে। হয়তো হাসপাতালগুলো আবারও রোগীতে পূর্ণ হয়ে যাবে, মৃত্যুর হারও বেড়ে যাবে।’

এখন পর্যন্ত যারা করোনায় মারা গেছেন তাদের প্রায় ৯০ শতাংশই কোনো টিকা নেননি এবং বাকি যারা মারা গেছেন তাদের অধিকাংশেরই কমোরবিডিটি ছিল জানিয়ে খুরশীদ আলম বলেন, আমি মনে করি, যারা টিকা নিয়েছেন তাদের জন্য সংক্রমণ মোকাবিলায় এটা বড় প্রটেকশন (প্রতিরোধক) হিসেবে কাজ করছে।

টিআই/এমএআর/