ভারতের ডাবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ভারতের ডাবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট যেন দেশে না ঢুকে, সে জন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বিএসএমএমইউয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই আগের তুলনায় করোনায় মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। দেশে বর্তমানে আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ ছড়ানোর মাত্রা বেশি। প্রতিবেশী দেশ ভারতের ডাবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার আগের তুলনায় বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের দৃষ্টি রাখতে হবে, ভারতের ডাবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট যেন বাংলাদেশে প্রবেশ না করে। এজন্য ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগতদের অবশ্যই কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ভারতের ডাবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট যদি বাংলাদেশে প্রবেশ করে, তাহলে দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। তাই ভারতের ডাবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ না করে সেজন্য এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

এসময় ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ ‘জিরো ভাইরাস ও এন্টিজেন টেস্ট’ নিয়ে কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

বিএসএমএমইউতে একদিনে টিকা নিলেন ১৮৩২ জন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে শনিবার (২৪ এপ্রিল) চলমান বিধিনিষেধের মাঝেও মোট এক হাজার ৮৩২ জন করোনার টিকা নিয়েছেন। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন এক হাজার ৫৮৩ জন ও প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ২৪৯ জন।

এ নিয়ে বিএসএমএমইউতে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫৪ হাজার ৩৩১ জন ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ১৯ হাজার ৬৯৬ জন।

বিএসএমএমইউতে শনিবার টিকা নিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা প্রমুখ।

বেতার ভবনের পিসিআর ল্যাবে শনিবার পর্যন্ত ১ লাখ ৩৫ হাজার ১১৪ জনের করোনা টেস্ট করা হয়েছে। বেতার ভবনের ফিভার ক্লিনিকে শনিবার পর্যন্ত ৯১ হাজার ৭৮৫ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।

অন্যদিকে করোনা ইউনিটে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ৮ হাজার ২৭১ জন রোগী সেবা নিয়েছেন। ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৬৮১ জন। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৩ হাজার ৮৮২ জন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ১৭৯ জন রোগী ও আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১৫ জন রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৯ জন।

টিআই/ওএফ