সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল
কমেছে রোগীর চাপ, বেড খালি ১৮৮টি
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রোগীর চাপ কমেছে। এজন্য হাসপাতালটির করোনা ইউনিট, আইসিইউসহ অন্যান্য বিভাগে বেড খালি রয়েছে। যদিও গত সপ্তাহে রোগীর ব্যাপক চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় কর্তৃপক্ষকে।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. খলিলুর রহমান।
বিজ্ঞাপন
পরিচালক বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীর জন্য হাসপাতালে বেড রয়েছে ২৯৮টি। এর মধ্যে ১০টি আইসিইউ ২৫টি এসডিইউ এবং বাকিগুলো সাধারণ বেড। এখন পর্যন্ত করোনা ইউনিটে আইসিইউ বেড দুটি খালি রয়েছে। করোনা ইউনিটে মোট ১১০ জন রোগী ভর্তি আছে। বাকি ১৮৮টি বেড এখনও খালি পড়ে আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু করোনা রোগী নয়, হাসপাতালে সব বিভাগেই রোগীর সংখ্যা কমেছে। সরকারের বিধিনিষেধের শুরুর দিকে যে চাপ ছিল সেটা এখন অনেকটা কমে এসেছে। বিধিনিষেধের জন্য বেশিরভাগ মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। যার ফলে করোনা সংক্রমণ কমেছে। বিধিনিষেধ জারির পর থেকে রোগীর চাপ সামাল দিতে খুব কষ্ট হয়েছে আমাদের। তবে এখন পরিস্থিতি ভালো।
বিজ্ঞাপন
সাধারণ মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, করোনার ব্যাপক সংক্রমণের কারণে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে। এক্ষেত্রে আমরা যদি সচেতন হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানি তাহলে আমাদের সেভাবে আঘাত করতে পারবে না। বিশেষ করে এখন প্রচণ্ড গরম পড়েছে। এই গরমে যদি বেশি বেশি ঘর থেকে বের হই তাহলে স্ট্রোকসহ নানা ধরনের রোগবালাই হতে পারে। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে অবস্থান করলে আমাদের এখন যে অবস্থায় আছে তা থেকে ক্রমান্বয়ে ভালোর দিকে যাবে।
ডাক্তার খলিলুর রহমান বলেন, দেশের সব হাসপাতালেই পর্যাপ্ত বেড খালি আছে। এজন্য যেকোনো নাগরিকের অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারবে। রোগীদের উদ্দেশে আমি বলবো, যাদের অবস্থা খারাপ তারা পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিন।
এসআর/এসকেডি